‘কলঙ্কিত’ কোলাহলের এক মহানগর

এক

যে গল্প দিয়ে এই নিবন্ধের সূত্রপাত, তা কমবেশি আমাদের সকলেরই জানা। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন কবিতায়। তবে এর একটা অন্তর্নিহিত প্রতীকী তাৎপর্য দাঁড় করানো যায়।

এক প্রভাতে ঘুম ভাঙল রাজার। হঠাৎ করেই তিনি লক্ষ করলেন, তাঁর পা ধুলোবালিতে সয়লাব। বিব্রতকর এবং বিরক্তিকর ব্যাপার। এর একটা বিহিত করা দরকার। তখনো জুতা আবিষ্কার হয়নি। মন্ত্রীর ডাক পড়ল। রাজা ক্ষোভে ফেটে পড়লেন :

আমার মাটি লাগায় মোরে মাটি,

রাজ্যে মোর একি এ অনাসৃষ্টি।

শীঘ্র এর করিবে প্রতিকার,

নইলে কারো রক্ষা নাহি আর।

মন্ত্রী মহাবিপদগ্রস্ত। কিভাবে এই ধুলো অপসারণ করা সম্ভব? ত্রাসে তাঁর ঘাম ছোটে, রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। অবশেষে একটা অজুহাত খুঁজে বের করলেন তিনি। রাজাকে প্রণাম করে বললেন, পায়ে যদি ধুলোই না থাকবে তাহলে আপনার পায়ের ধুলো আমরা পাব কি উপায়ে? কিন্তু রাজাকে টলানো গেল না। রাগত স্বরে তিনি আবারো বোমা ফাটালেন :

ধুলা-অভাবে না পেলে পদধুলা

তোমরা সবে মাহিনা খাও মিথ্যে,

কেন বা তবে পুষিনু এতগুলা

উপাধি-ধরা বৈজ্ঞানিক ভৃত্যে?

অর্থাৎ, এই যে এত research division, অমুক-তমুক কর্তৃপক্ষ এত তকমাধারী, গবেষকের পেছনে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ জোগান দিয়ে যাচ্ছি, তাহলে তাদের পুষে কি লাভ? এর সমাধান তারা দিতে পারবে না কেন?

জরুরি সভা বসলো, সম্ভবত তখনকার ‘Technical Committee,’ গোলটেবিল বৈঠকে ধুন্ধুমার আলোচনার ঝড় তুলল। কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়। কবির ভাষায়,

সকলে মিলি যুক্তি করি শেষে

কিনিল ঝাঁটা সাড়ে-সতেরো লক্ষ,

ধরে নিতে পারি ১৭.৫ লক্ষ ঝাঁটা কেনার এই সিদ্ধান্ত, নিঃসন্দেহে একটি মেগাপ্রকল্পের (Mega project) আওতাভুক্ত। ঝাড়ু দিয়ে ধুলো অপসারণের এই প্রক্রিয়া অস্বাভাবিক বিশাল এক কর্মকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটায়। কিন্তু এর ফলাফল কি হলো?

ঝাঁটের চোটে পথের ধুলা এসে

ভরিয়ে দিল রাজার মুখ বক্ষ।

আকাশ-বাতাস-অন্তরীক্ষ ধুলোয় ধূসরিত হলো। প্রচণ্ড বায়ুদূষণে আক্রান্ত হলো দেশ। রাজা হুংকার দিয়ে উঠলেন –

কহিল রাজা, ‘করিতে ধুলা দূর,

জগত হলো ধুলায় ভরপুর!’

আবারো জরুরি সভায় বসলো Technical Committee – কী করা যায় এখন? ধুলো তো সরানো গেলই না, এখন তো উল্টো সর্দি-কাশি আর হাঁপানিতে প্রাণ যাওয়ার দশা।

জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো : ২১ লাখ ভিস্তিওয়ালা ব্যাগ ভর্তি করে পানি স্প্রে করবে। অর্থাৎ দ্বিতীয় আরেকটি মেগাপ্রকল্প।

তখন বেগে ছুটিল ঝাঁকে – ঝাঁক

মশক কাঁখে একুশ লাখ ভিস্তি।

কিন্তু এই মেগাপ্রকল্পও কি কোনো সমাধান দিতে পারল? ফলাফল কী ঘটল? পানির উৎসস্থল অর্থাৎ পুকুর, নদী, খাল, বিলগুলি থেকে ২১ লাখ ভিস্তিওয়ালার পানি সংগ্রহ করার ফলাফল মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছালো। কবির কথায় :

পুকুরে বিলে রহিল শুধু পাঁক,

নদীর জলে নাহিক চলে কিস্তি।

জলের জীব মরিল জল বিনা,

ডাঙার প্রাণী সাঁতার করে চেষ্টা।

পাঁকের তলে মজিল বেচা-কিনা,

সর্দিজ্বরে উজাড় হলো দেশটা।

রাজার বিরক্তি চরমে পৌঁছাল। তিনি আর্তনাদ করে বলে উঠলেন :

কহিল রাজা, ‘এমনি সব গাধা

ধুলারে মারি করিয়া দিল কাদা!’

দুই

বসবাসের অযোগ্য শহর হিসেবে ঢাকার তকমা বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই বিদ্যমান। সম্প্রতি তার পুনর্নবায়ন হলো। এবারে ঢাকা বসবাসের অযোগ্যতার বিবেচনায় নিচের দিকে সপ্তম স্থানে অবস্থান নিয়েছে। ১৭৩টি দেশের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৬৬ নম্বরে। সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য যুক্ত হয়েছে এর সঙ্গে। তা হলো, ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর কিয়েভও নাকি বসবাসের যোগ্যতার মাপকাঠিতে ঢাকার চেয়ে এক ধাপ ওপরে। কিয়েভ শহরের অবস্থান ১৬৫ নম্বরে। [[The Global Livability Index 2023, published by the Economist Intelligence Unit (EIU)] 

কিয়েভ স্কুল অফ ইকোনমিক্স (Kiev School of Economics)-এর তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে (মার্চ, ২০২৩ পর্যন্ত) ইউক্রেনের ক্ষতির পরিমাণ ১৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই অংকের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত উল্লেখযোগ্য খাতসমূহ হলো : বাসগৃহ ধ্বংসযজ্ঞ ও ক্ষয়ক্ষতি বাবদ ৫৩.৬ বিলিয়ন ডলার, অবকাঠামোগত ধ্বংস ও ক্ষয়ক্ষতি বাবদ ৩৬.২ বিলিয়ন ডলার, শিল্প, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে যথাক্রমে ১১.৩ বিলিয়ন, ৮.৯ বিলিয়ন ও ১.৮ বিলিয়ন ডলার। এই তালিকা আরো দীর্ঘ। মাত্র প্রথম কয়েকটির উল্লেখ করা হলো।

এমনই একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর কিয়েভ। ইউক্রেনের রাজধানী। মনে করা যাক, এই যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরে একজনকে নেওয়া হলো। যুদ্ধ চলমান। তাকে এই শহরে বসবাস করতে হবে। তিনি কি সেখানে বসবাস করতে সম্মত হবেন?

তাহলে বসবাসের যোগ্যতা বিবেচনায় ঢাকার ওপরে কিয়েভের অবস্থান কিভাবে নির্ধারিত হয়? জান-মালের যে নিরাপত্তা একজনের জীবনযাপনের পূর্বশর্ত তা কি কিয়েভ শহরের বসবাসকারীদের ঢাকার চেয়েও বেশি বিদ্যমান?

কোনো শহরে বসবাসের যোগ্যতা কিভাবে যাচাই করা হয়? যে-কয়টি সূচকের মাপকাঠিতে তা করা হয় সেগুলি হলো :

Overall Rating (সার্বিক রেটিং)

Stability (স্থিতিশীল অবস্থা)

Healthcare (স্বাস্থ্যসেবা)

Culture & Environment (সংস্কৃতি ও পরিবেশ)

Education (শিক্ষা) এবং

Infrastructure (অবকাঠামো)

তাহলে কিয়েভ স্কুল অফ ইকোনমিক্স প্রদত্ত পরিসংখ্যান থেকে উপস্থাপিত তথ্যসমূহ এই সূচকের সঙ্গে তুলনা করি। কিয়েভে কমবেশি এর প্রতিটি ক্ষেত্র ধ্বংস হয়ে মাটিতে মিশে গেছে। কিন্তু ঢাকার ক্ষেত্রে এসব মাপকাঠির প্রতিটির সুনিশ্চিত এবং কৌশলগত অবস্থান বিদ্যমান। প্রথমেই লক্ষণীয়, এই সূচকগুলিতে যানজটের সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। ‘যানজট’ যে ঢাকা মহানগরীর প্রতিদিনের দুর্বিষহ জীবনযাত্রার প্রধান প্রভাবক তা সর্বজনবিদিত। এখনো গভীর রাতের কোনো সময়, অথবা প্রত্যুষে সূর্য ওঠার সময় ঢাকা এক নিরুপদ্রবতার প্রশান্তি নিয়ে উদ্ভাসিত হয়। দীর্ঘ প্রশস্ত যানজটহীন রাজপথ, অপরূপ তেল চকচকে, মসৃণ। কখনো তার দুপাশের গগনচুম্বী সারিবদ্ধ অট্টালিকা, নিজস্ব মহিমায় মহিমান্বিত। ‘কোন মিথ্যাবাদী প্রচার করিয়াছে ঢাকা রূপহীন, প্রাণহীন, বন্ধ গলির ভয়াবহ পাতালপুরী?’ ঈদের ছুটির কয়েকটি দিনেও এরকম দৃশ্যের অবতারণা হয়। কিন্তু দিনের অন্যান্য সময় ঢাকার রাস্তাঘাটের, অলিগলির চিত্র ভয়াবহ। শরতের দিনেও আকাশ ধূসর, ধূলি-ধূসরিত। বাতাস নিশ^াস নেওয়ার অযোগ্য।

তবে ‘বসবাসের অযোগ্যতায় কলঙ্কিত’ এবং অন্যান্য অনেক সমস্যায় জর্জরিত এই মহানগরীর আরো একটি ভূমিকা আছে। তা হলো, নীরবে-নিভৃতে প্রতিদিন মায়ের মমতায় কাজ করে চলেছে সে। নিজের সীমা, পরিসীমার ভেতর-বাইরের সকলকে সন্তানের মতো আশ্রয় দিয়ে নিত্যদিন তাদের আগলে নিয়ে তার পথচলা। ঘরটি আয়তনে অনেক ক্ষুদ্র। সবার স্থান সংকুলান হয় না সেখানে। সবার পাতে প্রয়োজনমতো আহারের জোগান হয়তো নেই, তবুও সবাই আছে, ছোট, নীড়ের পাখির মতো, বিস্তৃত ডানার নিচে ঘেঁষাঘেঁষি করে, মাতৃস্নেহে লালিত।

কথিত আছে, বাংলাদেশের এউচ (GDP (Gross Domestic Product)-তে ঢাকা মহানগরীর অর্থনৈতিক অবদান প্রায় ৪০ শতাংশ। পৃথিবীর আর কোনো নগর/ মহানগরের এককভাবে নিজের দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এতটা অবদান রাখার নজির নেই। উদাহরণস্বরূপ, দিল্লি বা মুম্বাই মহানগরীর অবদান এউচ-তে যথাক্রমে ছয় এবং সাত শতাংশের বেশি নয়।

কেবল GDP-তে সরাসরি বা প্রত্যক্ষ অবদান রাখার বিষয়টি শুধু নয়, জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার আশায় প্রতিদিন হাজার হাজার কর্মমুখী মানুষ ঢাকার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এক হিসাবে গড়ে প্রতিদিন ঢাকায় এসে আশ্রয় নিচ্ছে ১ হাজার ৭০০ মানুষ। ঢাকা তাদের ফিরিয়ে দেয় না। প্রত্যাখ্যান করে না। তাহলে এই ছিন্নমূল মানুষেরা থাকছে কোথায়? সে আরেক কাহিনি। বিস্তারিতভাবে এই লেখায় তার উল্লেখ সম্ভব নয়। তবে কেবল একটা কথা উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক বিবেচনা করি, প্রতিদিনের হিসাব ১ হাজার ৭০০ জন করে নগরে নবাগত ধরে নিলে প্রতি বছর ঢাকায় যুক্ত হচ্ছে ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ নতুন মানুষ। এই ছিন্নমূল মানুষেরা মূলত আশ্রয়হীন। তারা থাকছে বস্তিতে, আত্মীয়স্বজনের সাময়িক আশ্রয়ে, ফুটপাতে, যেখানে একটুখানি খালি জায়গা পাওয়া যাচ্ছে সেখানে। কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে, বাঁচার তাগিদে তারা ঢাকায় ছুটে আসছে। কোথায় থাকবে – সেই অনিশ্চয়তার চ্যালেঞ্জ তারা বরণ করে নিয়েছে। একরকম অবধারিতভাবেই তারা আশ্রয় নেয় বস্তিতে। এই ঢাকাতেই। (সূত্র : DHAKA STRUCTURE PLAN 2016-2035। প্রকাশনা : রাজউক, ২০১৬)

তিন

শেষের কথা : কোনো এক জাদুর কাঠির স্পর্শে যদি ঢাকা ছুটির দিনগুলির মতো শান্ত অথচ প্রবাহিত নদীর মতো সচল স্থায়ী রূপ ধারণ করত!

এই নিবন্ধের শুরুতে যে রাজকীয় সমস্যার সূত্রপাত এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নাভিশ্বাসের কথা বিবৃত হয়েছে, সেই সমস্যার অবশেষে কী হয়েছিল? একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান কবির বর্ণনাতে পাওয়া যায় :

তখন ধীরে চামার-কুলপতি

কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,

‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি,

সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।

নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে

ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’

বৃদ্ধ চামার তাঁর স্বভাবসুলভ দক্ষতায় রাজার পায়ের মাপে এক জোড়া পাদুকা/ জুতা তৈরি করলেন। ধুলোবালি থেকে রাজা মুক্তি পেলেন। মন্ত্রীবর দুশ্চিন্তা থেকে পরিত্রাণ পেলেন। যে-ধুলো নিয়ে এত কাণ্ড, সে-ধুলোর ধরা রক্ষা পেল। (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ‘জুতা-আবিস্কার’, কল্পনা)

আগেই বলেছি, কবিতাটি প্রতীকী অর্থে তাৎপর্যপূর্ণ। একই ফর্মুলায় সব সমস্যার সমাধান হবে না। তথাপি কথা থেকে যায়। যে ঢাকা মহা-নগরকে আমরা ‘মহা’ বা গবমধ বলে জানি (যা ১৫০০ বর্গ কিলোমিটার কমবেশি বলে ধরা হয়) তার প্রধান নঁরষঃ-ঁঢ় বা পড়ৎব ধৎবধ কিন্তু অনেক ক্ষুদ্র। ৩০০ বর্গমাইলের বেশি নয়। এই কেন্দ্রীয় এলাকাটিতেই প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ এক ঘূর্ণী আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, মেগাপ্রকল্পগুলি তাদের রাজপথ থেকে উড়ালপথে উড্ডয়নের সুযোগ দেবে সন্দেহ নেই, কিন্তু কেন্দ্র থেকে পরিসীমার দিতে সরিয়ে নিতে সক্ষম হবে না। দুশ্চিন্তা সেখানেই।

একটা প্রবাদ আছে : ‘পণ্ডিত মরে তর্ক নিয়া’। বৃহদায়তনের মেগাপ্রকল্পের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে বহু কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা, তর্ক-বিতর্কের ঘাত-প্রতিঘাত পার হয়ে চূড়ান্ত হয়। তবু অনেক সময়ই ধুলো দূর করতে (অন্য কথায় বায়ুদূষণ) জগৎ হয়ে ওঠে ধুলোয় ভরপুর। সহজিয়া সমাধান যেখানে বিদ্যমান সেই চামার (চর্মকার)-এর সন্ধান মেলে না, অথচ সে অবস্থান করে লোকচুক্ষর অন্তরালেই।

তথ্যসূত্র

উইকিপিডিয়ার একটি ভুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান ঢাকার। ২০২০ সালে ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুযায়ী তা ছিল ২৩৫ বিলিয়ন ডলার এবং নমিনাল গ্রোস স্টেইট প্রোডাক্ট (রাষ্ট্রপণ্যের) হিসাবে ১৬২ বিলিয়ন ডলার। ঢাকার অর্থনীতি বাংলাদেশের মোট দেশীয় সামষ্টিক উৎপাদনের (বা জিডিপির) ৪০ শতাংশ জোগান দেয়।

যদি ঢাকা একটি সর্বভৌম রাষ্ট্র হতো, তাহলে তা পৃথিবীতে ৫০তম বৃহৎ অর্থনীতি এবং দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ বৃহৎ অর্থনীতির মর্যাদা পেত, এবং মিয়ানমার, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ এবং আফগানিস্তান থেকে এগিয়ে থাকত, অবশ্য ভারত থেকে পিছিয়েই থাকত। দক্ষিণ এশিয়ার মাথাপিছু জিডিপি হিসাবে ঢাকা সবার থেকে এগিয়ে।