জীবনপঞ্জি : আনিসুজ্জামান

১৯৩৭
১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭-এ কলকাতায় আনিসুজ্জামানের জন্ম। তাঁর পুরো নাম আবু তৈয়ব মোহাম্মদ (এ. টি. এম) আনিসুজ্জামান। পৈতৃক নিবাস পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার মোহাম্মদপুর গ্রামে। পিতামহ সুধাকর, মিহির, হাফেজ, মিহির ও সুধাকর, মোসলেম হিতৈষী প্রভৃতি পত্রিকার সম্পাদক এবং হজরত মহম্মদের জীবনচরিত ও ধর্ম্মনীতি (১৮৮৮) প্রভৃতি গ্রন্থের লেখক শেখ আবদুর রহিম (১৮৫৯-১৯৩১)। পিতা খ্যাতনামা হোমিওপ্যাথ আবু তাহের মোহাম্মদ (এ. টি. এম) মোয়াজ্জম (১৮৯৭-১৯৭৫)। মাতামহ সৈয়দ আশরাফ আলী। মা হাতেম তাই (১৯৪০) গ্রন্থের রচয়িতা সৈয়দা খাতুন (আ. ১৯১২-৬৫)।
আনিসুজ্জামান পিতামাতার ছয় সন্তানের (তিন মেয়ে ও তিন ছেলে) মধ্যে পঞ্চম। বড় বোন তৈয়বুন্নেসা (১৯২৬-৯৯)। মেজো বোন তৈয়মুন্নেসা (জ. ১৯২৮)। ছোট বোন মেহেরুন্নেসা (১৯৩১-৮২)। বড় ভাই আবুল কালাম মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (১৯৩৩-৩৪)। ছোট ভাই আবু তালেব মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান (জ. ১৯৪৭)।

১৯৪২
যোগীন্দ্রনাথ সরকারের হাসিখুশী গ্রন্থ দিয়ে পাঠাভ্যাসে হাতেখড়ি।

১৯৪৩
মার্চ মাসে কলকাতার পার্ক সার্কাস হাই স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত এখানে অধ্যয়ন।

১৯৪৫
দৈনিক আজাদ পত্রিকার ‘মুকুলের মহফিল’-এর সদস্য।

১৯৪৬
কলকাতার পার্ক সার্কাসে মুকুল ফৌজে যোগদান। যুগ্মভাবে হাসান শফি মেমোরিয়াল লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা।

১৯৪৭
দেশবিভাগের পর ১৫ অক্টোবর বাবা-মায়ের সঙ্গে কলকাতা ত্যাগ এবং খুলনায় আগমন।

১৯৪৮
জানুয়ারিতে খুলনা জিলা স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি। ডিসেম্বরে পিতামাতার সঙ্গে খুলনা থেকে ঢাকায় স্থানান্তর।

১৯৪৯
জানুয়ারিতে ঢাকার প্রিয়নাথ হাই স্কুলে (বর্তমান নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) নবম শ্রেণিতে ভর্তি।

১৯৫০
গোলাম মোস্তফা-পরিচালিত নওবাহার পত্রিকায় প্রথম ছোটগল্প ‘টেলিফোন’ প্রকাশ।

১৯৫১
প্রিয়নাথ হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ। ঢাকার জগন্নাথ কলেজে আইএ প্রথম বর্ষে ভর্তি।

১৯৫১-৫২
দফতর সম্পাদক হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের কর্মতৎপরতায় অংশগ্রহণ।

১৯৫২
ভাষা-আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ। জগন্নাথ কলেজ রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন সম্পর্কে সে-সময়ে প্রথম প্রকাশিত পুস্তিকা (যুবলীগের প্রকাশনা) রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন কী ও কেন? রচনা।
পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠালগ্নে (এপ্রিল) সংগঠনের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রণয়ন।
আগস্টে কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান সাংস্কৃতিক সম্মেলনে যোগদান। কাজী মোতাহার হোসেনকে সভাপতি এবং ফয়েজ আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত ‘পাকিস্তান সাহিত্য সংসদে’ যোগদান; পরে এর কার্যনির্বাহক সমিতির সদস্য।

১৯৫৩
জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি।

১৯৫৪
১৪ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত পাকিস্তান সাহিত্য সংসদের সম্মেলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত। ২৩ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ।

১৯৫৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বাংলা সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন।
প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী বুলবুল চৌধুরীর স্মরণে প্রতিষ্ঠিত (১৭ মে) ঢাকার বুলবুল ললিতকলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য।

১৯৫৬
প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে বাংলায় বিএ সম্মান ডিগ্রি অর্জন। বিএ সম্মান পরীক্ষায় কলা অনুষদে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নীলকান্ত সরকার স্বর্ণপদক’ লাভ।
ডিসেম্বরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এশীয় লেখক সম্মেলনে পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের সদস্য।

১৯৫৭
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে এমএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার।
কাজী জহিরুল হক-সম্পাদিত সোভিয়েত দূতাবাসের সাপ্তাহিক জনমত পত্রিকার জন্য অনুবাদের কাজে সম্পৃক্ত।

১৯৫৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্ট্যানলি ম্যারন রচনা পুরস্কার’ লাভ।
পিএইচ.ডি গবেষক হিসেবে বাংলা একাডেমির বৃত্তিলাভ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচ.ডি গবেষণায় যোগদান। গবেষণার বিষয় Thoughts of the Bengali Muslims as reflected in Bengali Literature during the British period (1757-1918) [ইংরেজ আমলের বাংলা সাহিত্যে বাঙালি মুসলমানের চিন্তাধারা (১৭৫৭-১৯১৮)]। গবেষণা-তত্ত্বাবধায়ক : মুহম্মদ আবদুল হাই।

১৯৫৯
১৯ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অ্যাডহক ভিত্তিতে প্রভাষক হিসেবে যোগদান। এপ্রিলে কর্মের মেয়াদ শেষ। অক্টোবরে পুনরায় অস্থায়ী ভিত্তিতে প্রভাষক পদে নিয়োগ লাভ।

১৯৬১
১ অক্টোবর বিশিষ্ট সাংবাদিক আবদুল ওয়াহাব (১৯১৬-৯৪) ও গৃহবধূ মতলুবা খাতুনের (১৯১৮-২০০৩) জ্যেষ্ঠ কন্যা সিদ্দিকা ওয়াহাবের (জ. ১৯৩৯) সঙ্গে বিয়ে।
রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটির সদস্য হিসেবে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনে সক্রিয় ভূমিকা পালন।

১৯৬২
স্থায়ী ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ লাভ। পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন।

১৯৬৩
ইউনাইটেড স্টেটস এডুকেশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে করাচিতে অনুষ্ঠিত ‘Cultures of Two Worlds’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগদান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ-আয়োজিত বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সপ্তাহ ১৩৭০ অনুষ্ঠানে সক্রিয় ভূমিকা পালন।
মুহম্মদ আবদুল হাইয়ের সম্পাদনায় এবং রফিকুল ইসলাম ও আনিসুজ্জামানের সহকারী সম্পাদনায় ভাষা ও সাহিত্য সপ্তাহ ১৩৭০ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ (বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।

১৯৬৪
১২ এপ্রিল কন্যা রুচিরা জামানের জন্ম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে সিনিয়র প্রভাষক হিসেবে পদোন্নতি লাভ।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘The Writer and His Social Responsibility’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ।
অক্টোবরে গবেষণাগ্রন্থ মুসলিম-মানস ও বাংলা সাহিত্য প্রকাশ (লেখক সংঘ প্রকাশনী, ঢাকা)।
অক্টোবরে পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো হিসেবে এক শিক্ষাবর্ষের জন্য শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান। গবেষণার বিষয় : উনিশ শতকের বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাস : ইয়ং বেঙ্গল ও সমকাল।

১৯৬৫
১ জানুয়ারি মাতৃবিয়োগ।
এপ্রিলে সানফ্রানসিসকোয় অনুষ্ঠিত অ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়ান স্টাডিজের বার্ষিক সম্মেলনে যোগদান। জুনে ইন্ডিয়ানার ব্লুমিংটনে শিক্ষাবিষয়ক সম্মেলনে অংশগ্রহণ।
শিকাগো থেকে প্রত্যাবর্তনের পথে মাসাধিককাল লন্ডনে অবস্থান। ব্রিটিশ মিউজিয়াম লাইব্রেরি ও ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরিতে অধ্যয়ন। বিবিসি বাংলা বিভাগের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ।
১৯৬৫ সালের দাউদ সাহিত্য পুরস্কার লাভ।

১৯৬৬
পাকিস্তান আর্টস কাউন্সিলের উদ্যোগে লাহোরে অনুষ্ঠিত ‘National Seminar on Drama’-য় অংশগ্রহণ।

১৯৬৭
জুন মাসে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে ১৯ জন নাগরিকের বিবৃতিতে স্বাক্ষর সংগ্রহ এবং তা প্রকাশের ব্যবস্থা।

১৯৬৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক (১৯৬৮-৬৯)।
আগস্টে সম্পাদিত প্রবন্ধ-সংকলন রবীন্দ্রনাথ প্রকাশ (স্টুডেন্ট ওয়েজ, ঢাকা)।
নভেম্বরে মুহম্মদ আবদুল হাই-সহযোগে সম্পাদিত বিদ্যাসাগর-রচনাসংগ্রহ এবং দীনবন্ধু-রচনাসংগ্রহ প্রকাশ (স্টুডেন্ট ওয়েজ, ঢাকা)।
এশিয়াটিক সোসাইটি অব পাকিস্তানের কাউন্সিল-সদস্য নির্বাচিত।

১৯৬৯
জানুয়ারির গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষকদের পক্ষে অংশগ্রহণ।
৩ জুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে রিডার হিসেবে যোগদান।
১২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় কন্যা শুচিতা জামানের জন্ম।
নভেম্বরে গবেষণাগ্রন্থ মুসলিম বাংলার সাময়িকপত্র : ১৮৩১-১৯৩০ প্রকাশ (বাংলা একাডেমি, ঢাকা)।

১৯৭০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব গ্রহণ (১৯৭০-৭২)।
প্রভোস্ট প্রতিনিধি হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য (১৯৭০-৭২)।
বাংলা একাডেমির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত (১৯৭০-৭৩)।
প্রবন্ধ ও গবেষণায় বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ।

১৯৭১
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রাম পরিষদের সদস্য। চট্টগ্রাম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর দখলে চলে যাওয়ার পর ২৬ এপ্রিল আগরতলায় আশ্রয়গ্রহণ।
১৫ মে কলকাতায় গমন।
কলকাতায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি-গঠনে ভূমিকা পালন এবং এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ।
উত্তর ভারতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও জনসভায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে প্রচার-অভিযানে অংশগ্রহণ। জুনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ।
মুজিবনগরে গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা সেলের (পরে পরিকল্পনা কমিশনের) সদস্য।

১৯৭২
১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যক্ষের দায়িত্ব লাভ। ২০ আগস্ট ১৯৭৫ পর্যন্ত এ-দায়িত্ব পালন। আগস্টে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি।
পদাধিকারবলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা সাহিত্য সমিতির সভাপতি (১৯৭২-৭৪)।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের বাংলাভাষ্য প্রণয়নের দায়িত্ব লাভ।
বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য (১৯৭২-৭৪)।
২৭ আগস্ট পুত্র আনন্দ জামানের জন্ম।

১৯৭৩
বিশ্ব শান্তি পরিষদের আমন্ত্রণে বুদাপেস্ট সফর।
মস্কোতে বিশ্ব শান্তি পরিষদ-আয়োজিত ‘World Peace Wave’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগদান।
প্যারিসে অনুষ্ঠিত Orientalist Congress-এর দ্বিশতবর্ষ উৎসবে যোগদান এবং একটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
সম্পাদিত গবেষণা পত্রিকা পাণ্ডুলিপি (তৃতীয় সংখ্যা) প্রকাশিত (বাংলা সাহিত্য সমিতি, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)।

১৯৭৪
মনট্রিলে অনুষ্ঠিত Inequality-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সভায় যোগদান।
মে মাসে নিজের ভূমিকা-সংবলিত মীর মশাররফ হোসেনের এর উপায় কি? প্রকাশ (বাংলা সাহিত্য সমিতি, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)।
কমনওয়েলথ অ্যাকাডেমিক স্টাফ ফেলো হিসেবে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে গবেষণা। বিষয় : প্রাক-উনিশ শতকের বাংলা গদ্য।
সম্পাদিত গবেষণা পত্রিকা পাণ্ডুলিপি (চতুর্থ সংখ্যা) প্রকাশিত (বাংলা সাহিত্য সমিতি, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)।

১৯৭৫
ফেব্রুয়ারি মাসে অক্সফোর্ডের নাফিল্ড কলেজে ‘Cultural Trends in Bangladesh : a Redefinition of Identity’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ।
মার্চ মাসে সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব আফ্রিকান অ্যান্ড এশিয়ান স্টাডিজে ‘The World of the Bengali Muslim Writers in the Nineteenth Century’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন।
আগস্ট মাসে দেশে প্রত্যাবর্তন।
২৭ অক্টোবর পিতৃবিয়োগ।
২৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব লাভ। ২৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিনের দায়িত্ব গ্রহণ। ২৬ আগস্ট ১৯৭৬ পর্যন্ত এ-দায়িত্ব পালন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি হিসেবে পদাধিকারবলে বাংলা একাডেমির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য (১৯৭৫-৭৭)।
সম্পাদিত গবেষণা পত্রিকা পাণ্ডুলিপি (পঞ্চম সংখ্যা) প্রকাশ (বাংলা সাহিত্য সমিতি, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)।
ডিসেম্বরে জীবনীগ্রন্থ মুনীর চৌধুরী প্রকাশিত (থিয়েটার, ঢাকা)।

১৯৭৬
জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী, ঢাকা থেকে প্রবন্ধগ্রন্থ স্বরূপের সন্ধানে প্রকাশ।
টোকিওতে ইউনেস্কো-আয়োজিত এশিয়ার সাংস্কৃতিক গবেষণা সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের সভায় যোগদান।

১৯৭৭
লন্ডনের ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরি অ্যান্ড রেকর্ডসের আমন্ত্রণে সেখানে রক্ষিত বাংলা দলিলপত্র সম্পর্কে গ্রন্থ রচনার সূচনা।

১৯৭৮
জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে জাপানের কিয়োটোতে অনুষ্ঠিত Social Aspects of Endogenous Intellectual Creativity বিষয়ে এশীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ।
ম্যানিলা, হংকং ও ব্যাংকক ভ্রমণ।

১৯৭৯
জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে মেক্সিকো সিটিতে অনুষ্ঠিত উল্লিখিত বিষয়ে লাতিন আমেরিকান সম্মেলনে অংশগ্রহণ।
জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয় (টোকিও) থেকে প্রবন্ধ Social Aspects of Endogenous Intellectual Creativity পুস্তিকাকারে প্রকাশ।
ক্রিশ্চান মিকেলসন ইনস্টিটিউটের আমন্ত্রণে সপ্তাহকাল নরওয়ের বারগেনে অবস্থান।

১৯৮০
১২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের নির্বাচিত ডিন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ। ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ পর্যন্ত দায়িত্বপালন।
জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদোগে কুয়েতে অনুষ্ঠিত পূর্বোক্ত বিষয়ে আরব সম্মেলনে অংশগ্রহণ।
জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত Endogenous Intellectual Creativity and the Integration of Tradition and Modern Attitudes with Special Reference to Bangladesh and the Indian Subcontinent বিষয়ে কর্মশালা পরিচালনা।
সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সের উদ্যোগে কলকাতায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ।
সম্পাদিত গবেষণা পত্রিকা পাণ্ডুলিপি (অষ্টম সংখ্যা) প্রকাশিত (বাংলা সাহিত্য সমিতি, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)।

১৯৮১
জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে Endogenous Intellectual Creativity and the Integration of Tradition and Modern Attitudes with Special Reference to Bangladesh and the Indian Subcontinent বিষয়ে দ্বিতীয় কর্মশালা পরিচালনা।
জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে Transformation of the World পর্যায়ে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত Culture and Thought বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান।
আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের কার্যবিবরণী রচনার জন্য প্যারিসে অবস্থান।
আমস্টারডাম ভ্রমণ।
লন্ডন থেকে গবেষণাগ্রন্থ Factory Correspondence and other Bengali Documents in the India Office Library and Records প্রকাশ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ‘আন্তঃবিদ্যা বক্তৃতামালা : ১৯৮১-৮২’ পর্যায়ে ‘ভাষাব্যবহার’ বিষয়ে ছয়টি বক্তৃতা।

১৯৮২
ফেব্রুয়ারিতে ‘বাংলা একাডেমি বক্তৃতামালা’র প্রথম বক্তৃতা হিসেবে ‘পুরোনো বাংলা গদ্য’ বিষয়ে বক্তৃতা।
এপ্রিলে শিশুতোষ জীবনীগ্রন্থ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ প্রকাশ (বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, ঢাকা)।
আগস্টে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন।
জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ক্যামব্রিজে অনুষ্ঠিত Geo-cultural Vision of the World বিষয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রে অংশগ্রহণ।
আগস্টে অস্কার ওয়াইল্ডের অ্যান আইডিয়াল হাজব্যান্ডের বাংলা রূপান্তর আদর্শ স্বামী প্রকাশ (মুক্তধারা, ঢাকা)।
৪ নভেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের নির্বাচিত ডিন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ। ৩ নভেম্বর ১৯৮৪ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন।
ডিসেম্বরে গবেষণাগ্রন্থ আঠারো শতকের বাংলা চিঠি প্রকাশিত (বাংলা সাহিত্য সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)।
জুনে সম্পাদিত গ্রন্থ মুনীর চৌধুরী রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) প্রকাশ (বাংলা একাডেমি)।
সম্পাদিত গবেষণা পত্রিকা পাণ্ডুলিপি (নবম সংখ্যা) প্রকাশ (বাংলা সাহিত্য সমিতি, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)।

১৯৮৩
জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ম্যাকমিলান অ্যান্ড কোম্পানি থেকে Anouar Abdel-Malek-এর সঙ্গে যৌথ সম্পাদনায় Culture and Tradition প্রকাশ (লন্ডন)।
ৎসুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘Human Values’-বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান।
কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগদান। সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সের উদ্যোগে কলকাতায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ।
অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার লাভ।
রোম ভ্রমণ।

১৯৮৪
এশিয়াটিক সোসাইটির উদ্যোগে কলকাতায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ।
ফেব্রুয়ারিতে সম্পাদিত গ্রন্থ মুনীর চৌধুরী রচনাবলী (দ্বিতীয় এবং তৃতীয় খণ্ড) প্রকাশ (বাংলা একাডেমি, ঢাকা)।
ফেব্রুয়ারিতে গবেষণাগ্রন্থ পুরোনো বাংলা গদ্য প্রকাশ (বাংলা একাডেমি, ঢাকা)। শিক্ষায় অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক লাভ।

১৯৮৫
জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ নিরীক্ষণ কেন্দ্র-আয়োজিত ‘সমাজ নিরীক্ষণ বক্তৃতা-১৯৮৪’ পর্যায়ে ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস : প্রাসঙ্গিক জিজ্ঞাসা’ বিষয়ে বক্তৃতা।
১৫ই ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমিতে ‘অমর একুশে বক্তৃতা’ পর্যায়ের প্রথম বক্তৃতা হিসেবে ‘বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশ’ বিষয়ে বক্তৃতা।
১৯শে আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপক পদে যোগদান।
চট্টগ্রামের যোগেশ স্মৃতি প্রকাশনা পরিষদের সভাপতি।
সেপ্টেম্বরে বিভূতিভূষণ ভট্টাচার্য ও অরুণ দাশগুপ্ত সহযোগে সম্পাদিত যোগেশ-স্মৃতি : অধ্যাপক যোগেশচন্দ্র সিংহ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ (যোগেশ স্মৃতি প্রকাশনা পরিষদ, চট্টগ্রাম)।

১৯৮৬
নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত আফ্রো-এশীয় গণসংহতি পরিষদের সপ্তম কংগ্রেসে যোগদান ও পরিষদের সহসভাপতি নির্বাচিত।
বাংলাদেশ আফ্রো-এশীয় গণসংহিত পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত।
আলাওল সাহিত্য পুরস্কার ও বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার লাভ।
সম্পাদিত গ্রন্থ মুনীর চৌধুরী রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) প্রকাশ (বাংলা একাডেমি, ঢাকা)।

১৯৮৭
ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এশীয় সম্পর্কের স্মারক সম্মেলনে অংশগ্রহণ।
মার্চে স্বৈরশাসনের অবসানের আহ্বান জানিয়ে প্রদত্ত ৩১ জন নাগরিকের বিবৃতিতে স্বাক্ষরদান।
বাংলা একাডেমির সহযোজিত সদস্য (১৯৮৭-৯০)।
প্রধান সম্পাদনায় বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড) প্রকাশ (বাংলা একাডেমি, ঢাকা)। সম্পাদনা পরিষদ : আহমদ শরীফ, কাজী দীন মুহম্মদ, মমতাজুর রহমান তরফদার ও মুস্তাফা নূরউল ইসলাম।

১৯৮৮
ফেব্রুয়ারি মাসে জীবনীগ্রন্থ মোতাহের হোসেন চৌধুরী প্রকাশ (বাংলা একাডেমি, ঢাকা)।
ফেব্রুয়ারি মাসে আলেক্সেই আরবুঝভের নাটক স্তারোমোদোনাইয়া কোমেদিয়ার বাংলা রূপান্তর পুরোনো পালা প্রকাশ (আহমদ পাবলিশিং হাউস, ঢাকা)।
ফেব্রুয়ারিতে ওয়াহিদুল হক, জামিল চৌধুরী ও নরেন বিশ্বাস-সহযোগে সম্পাদিত ব্যবহারিক বাংলা উচ্চারণ অভিধান প্রকাশ (জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, ঢাকা)।
জুনে শিবপ্রসন্ন লাহিড়ী, আহমদ শরীফ ও অন্যান্য সহযোগে সম্পাদিত বাংলা ভাষার প্রয়োগ ও অপ্রয়োগ প্রকাশ (বাংলা একাডেমি, ঢাকা)।
সংবিধানে রাষ্ট্রধর্মের বিধান সংযোজনের বিরুদ্ধে অন্যদের সঙ্গে আগস্টে হাইকোর্টে মামলা রুজু।

১৯৮৯
আবুল মনসুর আহমদ সাহিত্য পুরস্কার লাভ।
সম্পাদিত গবেষণা পত্রিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা (৩৪তম সংখ্যা) জুনে প্রকাশিত (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
সম্পাদিত গবেষণা পত্রিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা (৩৫তম সংখ্যা) সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
সম্পাদিত গবেষণা পত্রিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা (৩৬তম সংখ্যা) ডিসেম্বরে প্রকাশিত (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।

১৯৯০
কায়রোতে বান্দুং সম্মেলনের ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আফ্রো-এশীয় গণসংহতি পরিষদ-আয়োজিত অনুষ্ঠানে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের ত্রিশ বছর বিষয়ে ভাষণ।
ইয়েমেনে অনুষ্ঠিত আফ্রো-এশীয় গণসংহতি পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান।
কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত ‘South Asia Forum for Human Right’-এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান।
সম্পাদিত গবেষণা পত্রিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা (৩৭তম সংখ্যা) মার্চে প্রকাশ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
সম্পাদিত গবেষণা পত্রিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা (৩৮তম সংখ্যা) জুনে প্রকাশিত (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
বেগম জেবুন্নেছা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ ট্রাস্ট পুরস্কার লাভ।
নভেম্বরে সম্পাদিত গ্রন্থ অজিত গুহ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ (অজিত গুহ স্মারকগ্রন্থ সম্পাদনা পরিষদ, ঢাকা)।

১৯৯১
সম্পাদিত গবেষণা পত্রিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা (৩৯তম সংখ্যা) ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
সম্পাদিত গবেষণা পত্রিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা (৪০তম সংখ্যা) জুনে প্রকাশিত (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
ডক্টর গোলাম মকসুদ হিলালী স্মৃতিপদক লাভ।
বাংলা একাডেমির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত (১৯৯১-৯৩)।

১৯৯২
ফেব্রুয়ারিতে সম্পাদিত গ্রন্থ স্মৃতিপটে সিরাজুদ্দীন হোসেন প্রকাশ (পূর্বাচল প্রকাশনী, ঢাকা)।
মার্চে শহিদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত গণআদালতে বাদীরূপে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উত্থাপন। এর জন্য ২৮ মার্চ সরকার কর্তৃক ২৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। ৩০ মার্চ হাইকোর্ট থেকে জামিনলাভ। ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক মামলা প্রত্যাহার।
১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নাজমা জেসমিন স্মারক বক্তৃতা ১৯৯২’ পর্যায়ে ‘উনিশ শতকের শিক্ষিত বাঙালির দৃষ্টিতে নারী’ বিষয়ে বক্তৃতা।
৪ অক্টোবর বাংলা সাহিত্য সমিতি, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ স্মারক বক্তৃতা’ পর্যায়ে ‘পুরোনো বাংলা সাহিত্যে নারীসম্পর্কিত ধারণা’ বিষয়ে বক্তৃতা।
নভেম্বরে হায়াৎ মামুদ-সংকলিত এবং জামিল চৌধুরী, বশীর আল্‌হেলাল ও মাহবুবুল হক সহযোগে সম্পাদিত পাঠ্যবইয়ের বানান প্রকাশ (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা)।
১৫ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মারক বক্তৃতা ১৯৯২’ পর্যায়ে ‘ধর্মরাষ্ট্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও রাষ্ট্রধর্ম’ বিষয়ে বক্তৃতা।

১৯৯৩
ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ থেকে প্রবন্ধগ্রন্থ Creativity Reality and Identity প্রকাশিত।
কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটিতে ‘Cultural Pluralism’ বিষয়ে Indira Gandhi Memorial Lecture 1991 বক্তৃতা।
দেওয়ান গোলাম মোর্তজা স্মৃতিপদক লাভ।
মে মাসে মোহাম্মদ আবদুল কাইউম, রফিকুল ইসলাম ও অন্যান্য সহযোগে সম্পাদিত নজরুল রচনাবলী (চার খণ্ড) প্রকাশ (বাংলা একাডেমি)।
শ্রীলঙ্কায় আফ্রো-এশীয় গণসংহতি পরিষদের সম্মেলনে যোগদান।

১৯৯৪
কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রবন্ধপুস্তিকা Cultural Pluralism প্রকাশ।
কলকাতায় মওলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান স্টাডিজের প্রথম ভিজিটিং ফেলো।
নয়াদিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর দি আর্টসের উদ্যোগে ‘Culture and Development’ বিষয়ে সেমিনারে ‘Universality, Uniformity and Specificity : a View from a Developing Country’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন। কলকাতায় অনুষ্টুপ-আয়োজিত সমর সেন স্মারক বক্তৃতা প্রদান। বিষয় : ‘বাংলাদেশ : বাঙালির আত্মপরিচয়’।
অশোককুমার স্মৃতি আনন্দ পুরস্কার লাভ (নরেন বিশ্বাসের সঙ্গে)।
ফেব্রুয়ারিতে সম্পাদিত গ্রন্থ শহীদুল্লাহ্ রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) প্রকাশ (বাংলা একাডেমি, ঢাকা)।
সম্পাদিত গ্রন্থ শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ (শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতিরক্ষা পরিষদ, ঢাকা)।
ফেব্রুয়ারিতে মালেকা বেগমের সহযোগে সম্পাদিত নারীর কথা প্রকাশ (গণসাহায্য সংস্থা, ঢাকা)।
প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং ফেলো।

১৯৯৫
ভারতের জওহরলাল নেহ্‌রু ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ‘Religion and Politics in Bangladesh’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন।
নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং ফেলো (ফেব্রুয়ারি-মে)।
পেনসিলভানিয়া, কলাম্বিয়া ও ডিউক ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা।
প্রবন্ধগ্রন্থ Identity, Religion and Recent History প্রকাশ (মওলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান স্টাডিজের পক্ষে নয়া উদ্যোগ, কলকাতা)।
সম্পাদিত গ্রন্থ শহীদুল্লাহ্ রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) প্রকাশ (বাংলা একাডেমি, ঢাকা)।
সম্পাদিত গ্রন্থ শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের আত্মকথা প্রকাশ (শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতিরক্ষা পরিষদ, ঢাকা)।

১৯৯৬
২৪ আগস্ট ঢাকায় ‘সিধুভাই স্মারক বক্তৃতা ১৯৯৬’ পর্যায়ে ‘বাংলাদেশ ধর্ম, রাজনীতি ও রাষ্ট্র’ বিষয়ে বক্তৃতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর মানববিদ্যা কেন্দ্রের সভাপতির দায়িত্ব লাভ (১৯৯৬-৯৮)।
বার্লিনে অনুষ্ঠিত রবীন্দ্রনাথ-সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান।

১৯৯৭
ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্তিযুদ্ধকালের স্মৃতিকথা আমার একাত্তর প্রকাশ (সাহিত্য প্রকাশ, ঢাকা)।
১২ নভেম্বর অজিত গুহ স্মৃতি পরিষদ-আয়োজিত ‘অজিত গুহ স্মারক বক্তৃতা’ পর্যায়ে ‘সাম্প্রদায়িকতার ভাবাদর্শ’ বিষয়ে বক্তৃতা।
বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষা কমিটির সদস্য (১৯৯৭-২০০১)।
নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি (জানুয়ারি ১৯৯৭-আগস্ট ১৯৯৯)।
গণসাহায্য সংস্থা আয়োজিত বাঙালি সংস্কৃতি উৎসব ১৪০৩ উদ্‌যাপন পরিষদের আহ্বায়ক।
জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী ও অন্যান্য সহযোগে সম্পাদিত ফতোয়া প্রকাশ (শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র, ঢাকা)।
জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী ও অন্যান্য সহযোগে সম্পাদিত মধুদা : শহীদ মধুসূদন দে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ (মধুদা স্মৃতি সংসদ, ঢাকা)।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য শহীদ নূতনচন্দ্র সিংহ স্মৃতি পদক লাভ।

১৯৯৮
জুনে সম্পাদিত গ্রন্থ চোখের দেখা প্রাণের কথা (ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই কনভেনশন স্মারকগ্রন্থ) প্রকাশ (ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা)।

১৯৯৯
জানুয়ারিতে প্রবন্ধগ্রন্থ মুক্তিযুদ্ধ এবং তারপর প্রকাশ (আগামী প্রকাশনী, ঢাকা)।
২১ জুলাই চট্টগ্রামের আবদুর রহমান স্মৃতি মজলিশ-আয়োজিত ‘আবদুর রহমান স্মারক বক্তৃতা ১৯৯৯’ পর্যায়ে ‘বাংলাদেশের শিক্ষা বিষয়ে কিছু কথা’ শীর্ষক বক্তৃতা।
১৯ আগস্ট বাংলা একাডেমির সভাপতি পদে নিয়োজিত।
ডিসেম্বরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ায় সমাবর্তন বক্তৃতা।
নজরুল জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।
আবুল ফজল মুক্তবুদ্ধিচর্চা কেন্দ্রের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ।
হামবুর্গে অনুষ্ঠিত নজরুল জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদান।

২০০০
ফেব্রুয়ারিতে প্রবন্ধগ্রন্থ বাঙালি নারী : সাহিত্যে ও সমাজে এবং শিশুতোষ গ্রন্থ কতকাল ধরে প্রকাশ (সাহিত্য প্রকাশ, ঢাকা)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোবিন্দ দেব দর্শন গবেষণা কেন্দ্রে ১৯৯৯ সালের গোবিন্দ দেব স্মারক বক্তৃতা (‘বাঙালি সংস্কৃতি প্রসঙ্গে’)।
একুশের বইমেলায় প্রবন্ধগ্রন্থ নির্বাচিত প্রবন্ধ প্রকাশ (অন্যপ্রকাশ, ঢাকা)।
মার্চে প্রবন্ধগ্রন্থ পূর্বগামী প্রকাশ (শিখা প্রকাশনী, ঢাকা)।
জুনে বেলাল চৌধুরী সহযোগে সম্পাদিত হাসান হাফিজুর রহমান স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ (হাসান হাফিজুর রহমান স্মৃতি সংসদ, ঢাকা)।

২০০১
পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস অন্তর্ভুক্তকরণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভাপতি।
ফেব্রুয়ারিতে সম্পাদিত গ্রন্থ ত্রৈলোক্যনাথ রচনা-সংগ্রহ প্রকাশ (সাহিত্য প্রকাশ, ঢাকা)।
তিন খণ্ডে সম্পাদিত মুনীর চৌধুরী-রচনাসমগ্র প্রকাশ (অন্যপ্রকাশ, ঢাকা)।
বিশ্বজিৎ ঘোষ সহযোগে সম্পাদিত আবু হেনা মোস্তফা কামাল রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) প্রকাশ (বাংলা একাডেমি, ঢাকা)।

২০০২
৩১ জানুয়ারি বাংলা একাডেমির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফাদান।

২০০৩
৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে অনোমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী আয়োজিত ‘বেণীমাধব ও ফণীভূষণ স্মারক বক্তৃতা ২০০৩’ পর্যায়ে ‘বাঙালি সংস্কৃতি : বৈশিষ্ট্য, বিকাশ, সমস্যা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ে বক্তৃতা।
ফেব্রুয়ারি মাসে স্মৃতিকথা কাল নিরবধি প্রকাশ (সাহিত্য প্রকাশ, ঢাকা)।
ফেব্রুয়ারি মাসে ফ্রাঁস ভট্টাচার্য সহযোগে সম্পাদিত ওগুস্তেঁ ওস্যাঁর বাংলা-ফরাসি শব্দকোষ প্রকাশ (সাহিত্য প্রকাশ, ঢাকা)।
মার্চে কলকাতার নীহাররঞ্জন রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এশিয়াটিক সোসাইটি আয়োজিত সেমিনারে ‘Nihar Ranjan Ray on Culture’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন।
৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক পদ থেকে অবসরগ্রহণ।
Art of Bangladesh Series-এ রচিত গ্রন্থ Devadas Chakraborty প্রকাশ (শিল্পকলা একাডেমী, ঢাকা)।
জুলাই মাসে বেলাল চৌধুরী সহযোগে সম্পাদিত কিংবদন্তীর কথকতা (আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ স্মারকগ্রন্থ) প্রকাশ (সেন্টার ফর বাংলাদেশ কালচার, ঢাকা)।
চট্টগ্রামের আবুল ফজল জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি।
শিক্ষাকোষ প্রণয়ন কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি।
বিপ্লবী লীলা নাগ জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন পরিষদের সহ-সভাপতি।

২০০৪
ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ত্রৈমাসিক শিল্প পত্রিকা Jamini এবং মাসিক সাহিত্যপত্র কালি ও কলমের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন।
১২ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় সাহিত্য অকাদেমি আয়োজিত ‘কবি জসীমউদ্দীন জন্মশতবার্ষিকী বক্তৃতা ২০০৪’ পর্যায়ে ‘Jasimuddin : The Man and the Poet’ বিষয়ে বক্তৃতা।
২২ মার্চ ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বক্তৃতা ২০০৪’ পর্যায়ে ‘আমাদের মুক্তিসংগ্রাম এবং সংবিধানের মূলনীতি’ বিষয়ে বক্তৃতা।

২০০৫
জানুয়ারিতে সৌরেন বিশ্বাস, মহীবুল আজিজ ও মালিক সোবহানের সম্পাদনায় সংকলনগ্রন্থ আনিসুজ্জামান : বাঙালি মনীষার প্রতিকৃতি প্রকাশ (বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)।
কলকাতার রবীন্দ্র-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডি.লিট লাভ।
২০ এপ্রিল সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপকরূপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ লাভ।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক আলোচনা সভায় ‘Tagore in East Pakistan and Bangladesh’ প্রবন্ধ উপস্থাপন।
জুনে ভূঁইয়া ইকবালের সম্পাদনায় সংকলনগ্রন্থ আনিসুজ্জামান/ সংবর্ধনা-স্মারক (মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা) প্রকাশ।
নভেম্বরে প্রকাশিত সেলিনা বাহার জামান স্মারকগ্রন্থের (স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা কমিটি) সম্পাদনা পরিষদের আহ্বায়ক।

২০০৬
ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আলোচনা সভায় ‘Tagore in Bangladesh’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ।
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সহযোগে সম্পাদিত আইন-শব্দকোষ প্রকাশ (অন্যপ্রকাশ, ঢাকা)।
নিউইয়র্কে বাংলা বইমেলায় যোগদান।
ডিসেম্বরে অন্যদের সহযোগে আছ নিশিদিন, আছ প্রতিক্ষণে (শহিদ অধ্যাপক গিয়াস উদ্দীন আহমদ স্মারকগ্রন্থ) প্রকাশ।

২০০৭
টরন্টোতে বাংলা বইমেলা উদ্বোধন।
ঢাকায় নাগরিক সভায় বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে প্রবন্ধ উপস্থাপন।
সত্তর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ভূঁইয়া ইকবাল সম্পাদিত সমাজ ও সংস্কৃতি (মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা) প্রকাশ।

২০০৮
মনট্রিলে বাংলা বইমেলা উদ্বোধন।
ফেব্রুয়ারিতে অন্যদের সহযোগে সম্পাদিত নূরজাহান মুরশিদ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ (অন্যপ্রকাশ, ঢাকা)।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সরোজিনী বসু পদক লাভ।
জুনে প্রধান সম্পাদনায় বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (দ্বিতীয় খণ্ড) প্রকাশ (বাংলা একাডেমি, ঢাকা)। সম্পাদনা পরিষদ : আহমদ শরীফ, কাজী দীন মুহম্মদ, মমতাজুর রহমান তরফদার ও মুস্তাফা নূরউল ইসলাম।
লন্ডনে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগদান।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর (২০০৮-০৯)।
২৩ জুন এমেরিটাস অধ্যাপকরূপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান।
আগস্টে অন্যদের সহযোগে সম্পাদিত শামসুর রাহমান স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ (অন্যপ্রকাশ, ঢাকা)।
অক্টোবরে অন্যদের সহযোগে সম্পাদিত মোহাম্মদ মোদাব্বের : জন্মশতবর্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রকাশ (মোহাম্মদ মোদাব্বের জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপন কমিটি, ঢাকা)।
নভেম্বরে অন্যদের সহযোগে সম্পাদিত তুমি রবে নীরবে (মাহবুব উল আলম চৌধুরী স্মারকগ্রন্থ) প্রকাশ (পালক পাবলিশার্স, ঢাকা)।

২০০৯
সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বাংলা একাডেমি-আয়োজিত বাংলা বইমেলায় প্রধান অতিথিরূপে যোগদান।
জুনে মাহবুবুল হক, শামসুল হোসাইন, ভূঁইয়া ইকবাল ও আবুল মোমেনের সহযোগে সম্পাদিত মানবতন্ত্রী আবুল ফজল শতবার্ষিকী স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ (সময় প্রকাশন, ঢাকা)।
পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির প্রতিষ্ঠাবার্ষিক বক্তৃতা (‘প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’)।

২০১০
সিডনির ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন সিডনিতে ‘The Bengali Identity’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন।
মার্চে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং ফেলো।
ঢাকায় মুনতাসীর মামুন-ফাতেমা খানম ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত মিসবাহউদ্দিন খান স্মারক বক্তৃতা ‘বাঙালির আত্মপরিচয়’ প্রদান।

২০১১
ফেব্রুয়ারিতে প্রবন্ধগ্রন্থ রবীন্দ্রনাথ : একালের চোখে প্রকাশ (সন্ধানী প্রকাশনী, ঢাকা)।
৬ মে রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতজন্মবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল ভাষণ ‘The World of Rabindranath Tagore : A Glimpse’ প্রদান।
এই উপলক্ষে ৭ মে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ভারতের জাতীয় উৎসবের আলোচনা সভার একটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
জুনে মেলবোর্নে মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতজন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে ‘Tagore’s World-view’ শীর্ষক ভাষণ প্রদান।
অক্টোবরে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতজন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে ‘Tagore and the Bengali Muslims’ ভাষণ প্রদান।
অক্টোবরে বার্লিনে অনুষ্ঠিত রবীন্দ্রনাথ-সম্পর্কিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা।
ইস্তাম্বুল ভ্রমণ।
২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে মূল ভাষণ প্রদান। বিষয় : ‘The World View of Rabindranath Tagore : An Outline’।
ডিসেম্বরে আয়েশা খানম, সুলতানা কামাল ও মফিদুল হকের সহযোগে সম্পাদিত সুফিয়া কামাল স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ (সুফিয়া কামাল স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা পরিষদ, ঢাকা)।
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে সৈয়দ ইশতিয়াক আহমদ স্মারক বক্তৃতা। বিষয় : ‘আইনের আদি বাংলা অনুবাদ’।
কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্মারক স্বর্ণফলক লাভ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিল্লিয়া ও বিশ্বভারতীর যৌথ উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথ-সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি কমিটির সদস্য।

২০১২
২৯ জানুয়ারি বাংলা একাডেমির সভাপতি পদে দ্বিতীয়বারের জন্য নিয়োজিত। ফেব্রুয়ারিতে প্রবন্ধগ্রন্থ বাঙালি সংস্কৃতি ও অন্যান্য প্রকাশ (জাগৃতি প্রকাশনী, ঢাকা)।
১৮ ফেব্রুয়ারি ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নাগরিক সংবর্ধনা লাভ।
সেলিনা হোসেনের প্রধান সম্পাদনায় আলোকচিত্র-সংগ্রহ আলোয় ভুবন ভরা (চন্দ্রাবতী একাডেমি, ঢাকা) প্রকাশ।
ফেব্রুয়ারিতে সম্পাদিত প্রবন্ধগ্রন্থ রবীন্দ্রনাথ : এই সময়ে প্রকাশ (প্রথমা, ঢাকা)।
ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত খান সারওয়ার মুরশিদ সংবর্ধনা-গ্রন্থের (বাংলা একাডেমি, ঢাকা) উপদেষ্টা সম্পাদক।
বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণের অন্যতম উপদেষ্টা (বাংলা একাডেমি, ঢাকা)।
মে মাসে সম্পাদিত সংকলক সার্ধশতবর্ষে রবীন্দ্রনাথ : বাংলাদেশের শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রকাশ (বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা।
৭ মে কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি-প্রদত্ত সম্মানসূচক পুরস্কার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মশতবর্ষ ফলক লাভ।
১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দিবসে ‘নারীর ক্ষমতায়নে উচ্চশিক্ষা’ বিষয়ে বক্তৃতা।
আগস্টে প্রবন্ধগ্রন্থ ইহজাগতিকতা ও অন্যান্য প্রকাশ (কারিগর, কলকাতা)।
যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদান।
একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি কর্তৃক জাহানারা ইমাম স্মারক সম্মাননা প্রদান।
অক্টোবরে সম্পাদিত গ্রন্থ জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ (বেঙ্গল পাবলিকেশন্স, ঢাকা)।
নভেম্বরে প্রকাশিত হুমায়ূন আহমেদ স্মারকগ্রন্থের (অন্যপ্রকাশ, ঢাকা) সম্পাদনা-পরিষদের সভাপতি।
ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মহানামব্রত ফাউন্ডেশন ফর পিস অ্যান্ড সলিডারিটি স্বর্ণপদক লাভ।
ডিসেম্বরে সম্পাদিত গ্রন্থ মুক্তির সংগ্রাম প্রকাশ (চন্দ্রাবতী একাডেমি, ঢাকা)। সম্পাদনা পরিষদের সদস্য : আবদুল মমিন চৌধুরী ও সেলিনা হোসেন।

২০১৩
২৬ জানুয়ারি কলকাতায় ৩৭তম আন্তর্জাতিক বইমেলা উদ্বোধন।
জানুয়ারিতে প্রবন্ধগ্রন্থ সংস্কৃতি ও সংস্কৃতিসাধক প্রকাশ (বেঙ্গল পাবলিকেশন্স, ঢাকা)।
জানুয়ারিতে সম্পাদিত শিশুসাহিত্য সংকলন সাদা মেঘের ভেলা প্রকাশ (শিশু সাহিত্য সংসদ, কলকাতা)। সহযোগী সম্পাদক : হাবিবা হক।
ফেব্রুয়ারিতে প্রবন্ধগ্রন্থ চেনা মানুষের মুখ প্রকাশ (প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা)।
৬ এপ্রিল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তৃতা।
১৩ এপ্রিল বাংলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফোকলোর সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব।
এপ্রিলে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (শিলচর) আন্তর্জাতিক সেমিনারে মূল ভাষণ প্রদান।
৬ মে চ্যানেল আইয়ের আজীবন সম্মাননা লাভ।
১০ মে বাঙালি সংস্কৃতি ও অন্যান্য গ্রন্থের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার ২০১২ লাভ।
১৪ জুন বাঙালিসমগ্র জাদুঘরের আয়োজনে জাতীয় জাদুঘরে ‘ইংরেজি গীতাঞ্জলি : রচনা ও অভ্যর্থনা’ বিষয়ে তৃতীয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মারক বক্তৃতা।
২০ জুন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সুফিয়া কামাল সম্মাননা লাভ।
৭ আগস্টে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগে রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তির শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মূল ভাষণ প্রদান।
১ সেপ্টেম্বর যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদান।
১৪ সেপ্টেম্বর চন্দ্রাবতী একাডেমি কর্তৃক আজীবন সম্মাননা প্রদান এবং মাহফুজুর রহমান-সম্পাদিত আলোকচিত্র সংকলন আকাশ আমায় ভরল আলোয় প্রকাশ।
অক্টোবরে কলকাতার নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডিলিট লাভ।
বার্লিনের বেঙ্গল জেনট্রুমের উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার লাভের শতবর্ষ-উপলক্ষে বক্তৃতাদান।
জুরিখ, মাদ্রিদ ও ইস্তাম্বুল ভ্রমণ।

২০১৪
জানুয়ারিতে সম্পাদিত কিশোর সাহিত্য সংকলন ছুটির নিমন্ত্রণে প্রকাশ (শিশু সাহিত্য সংসদ, কলকাতা)। সহযোগী সম্পাদক : হাবিবা হক।
২৫ জানুয়ারি ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ সম্মাননা-প্রদানের ঘোষণা।
২৭ মার্চ আইটিআই বাংলাদেশ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ কর্তৃক বিশ্বনাট্যদিবস সম্মাননা প্রদান।
৩১ মার্চ নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি-ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পদ্মভূষণ সম্মাননা প্রদান।
২ এপ্রিল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্তৃক সম্মাননা প্রদান।
ডিসেম্বরে মুনীর চৌধুরী বইয়ের নাদিরা বেগম ও শামশের চৌধুরীকৃত ইংরেজি অনুবাদ Munier Chowdhury (বাংলা একাডেমি, ঢাকা) প্রকাশ। ডিসেম্বরে বাঙালি ও বাংলাদেশ (মিত্র ও ঘোষ, কলকাতা) গ্রন্থ প্রকাশ।

২০১৫
ফেব্রুয়ারিতে আত্মপরিচয় ভাষা-আন্দোলন স্বাধীনতা (চন্দ্রাবতী একাডেমি, ঢাকা) গ্রন্থ প্রকাশ।
২২ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নজরুল সম্মেলনে সভাপতিত্ব।
২৯ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাগরিক-সংবর্ধনায় মানপত্র পাঠ ও প্রদান।
১২-১৪ আগস্ট ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সাংস্কৃতিক আলোচনাচক্রে বাংলা সাহিত্য-বিষয়ে বক্তৃতা।
১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাজউদ্দীন আহমদ স্মারক বক্তৃতা।
১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইবরাহিম খাঁ স্মারক বক্তৃতা।
২৩-২৫ সেপ্টেম্বর কলকাতায় কালি ও কলম পত্রিকার আত্মপ্রকাশ-উপলক্ষে সংবাদ-সম্মেলন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ।
২ অক্টোবর ঢাকায় চন্দ্রাবতী একাডেমি-আয়োজিত শিশুসাহিত্য সম্মেলনে সভাপতিত্ব।
৫ অক্টোবর আমিন জুয়েলার্স স্বর্ণপদক লাভ।
২১-২৩ অক্টোবর নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি-ভবনে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অব ইন্ডোলজিতে প্রবন্ধ-উপস্থাপন।
২৫ অক্টোবর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন-বক্তৃতা।
৬ নভেম্বর খুলনার কবিতালাপ গোষ্ঠীর আজীবন সম্মাননা ও সেই উপলক্ষে মোহাম্মদ আবদুল মজিদ-সম্পাদিত আনিসুজ্জামান : বাঙালির শেকড়সন্ধানী গ্রন্থ প্রকাশ।
২১ ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ স্মারক বক্তৃতা।

২০১৬
২৯ জানুয়ারি সাগরদাঁড়িতে মধুমেলায় একটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব।
২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি গুয়াহাটির অসম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মূল বক্তৃতা।
১৪ মার্চ পটুয়াখালীতে রবীন্দ্র-সংগীত সম্মিলন পরিষদ-আয়োজিত সম্মেলন উদ্বোধন।
২৪ মার্চ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতা পদক লাভ।
১৪ মে রণদাপ্রসাদ সাহা স্মারক পুরস্কার লাভ।
জুলাইয়ে কথার কথা (চন্দ্রাবতী একাডেমি, ঢাকা) গ্রন্থ প্রকাশ।
৫-৬ আগস্ট উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়-আয়োজিত আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র-সম্মেলন উদ্বোধন।
২৬-২৭ আগস্ট বিশ্বভারতী-আয়োজিত ‘রবীন্দ্রনাথ ও জাপান’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা ও একটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব।
১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলা উদ্বোধন।
৫-৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য সম্মেলন উদ্বোধন।

২০১৭
৯ জানুয়ারি উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন-বক্তৃতা।
১০ জানুয়ারি সুদীর্ঘ অসুস্থতার সূচনা।
১৬ জানুয়ারি আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক (অনুপস্থিতিতে) সাম্মানিক ডি.লিট প্রদান।
ফেব্রুয়ারিতে পার্থসারথী রায় রচিত ঠিকানা/আনিসুজ্জামান জীবন ও সাহিত্য (কলকাতা : কমলিনী) গ্রন্থ প্রকাশ।
৭ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার।
২৯ এপ্রিল কলকাতায় আনন্দ পুরস্কার গ্রহণ।
৩ জুন দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি-ভবনে মুচকুন্দ দুবে-সম্পাদিত ও অনূদিত লালন শাহ ফকিরকে গীত গ্রন্থের প্রকাশনা-উৎসবে বক্তৃতা।
১৭ আগস্ট এশিয়াটিক সোসাইটিতে ‘মুর্তজা বশীর : মানুষ ও শিল্পী’ শীর্ষক আমিনা বশীর স্মৃতি বক্তৃতা।
সেপ্টেম্বরে Cultural Pluralism and other Essays (Dhaka : Journeyman) গ্রন্থ প্রকাশ।
২৯ অক্টোবর জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন ‘বাংলার মুসলমানের পরিচয়-বৈচিত্র্য : অষ্টাদশ শতক অবধি’ শীর্ষক জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক গুণীজন বক্তৃতা প্রদান।
৬ নভেম্বর বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে মিসেস নূরজাহান মুরশিদ ও প্রফেসর খান সারওয়ার মুরশিদ স্মারক বক্তৃতা প্রদান।

২০১৮
ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যাসাগর ও অন্যেরা (অন্যপ্রকাশ, ঢাকা) প্রকাশ।
১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগে হরপ্রসাদ-শহীদুল্লাহ্ স্মারক-বক্তৃতা ‘হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ও মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্’ প্রদান।
নভেম্বরে স্মরণ ও বরণ (চন্দ্রাবতী একাডেমি, ঢাকা) প্রকাশ।
১৯ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগে রোকেয়া স্মারক বক্তৃতা ‘রোকেয়া এক বিস্মৃত অনুসারী’ প্রদান।

২০১৯
এপ্রিলে সমাজ সংস্কৃতি রাজনীতি (প্রথমা, ঢাকা) প্রকাশ।
২৯ জুন থিম্পুতে সার্ক সংস্কৃতি কেন্দ্র কর্তৃক সার্ক সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯ প্রদান।
অক্টোবরে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি সম্মাননা লাভ।
নভেম্বরে খান বাহাদুর আহ্‌ছানউল্লা স্বর্ণপদক লাভ।
ডিসেম্বরে বাংলা একাডেমির ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্মারক বক্তব্য প্রদান।

২০২০
৪ জানুয়ারি কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন।
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে শারীরিক অসুস্থতার জন্য রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরে আসেন। পুনরায় শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ২৭ এপ্রিল তাঁকে ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৯ মে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর।
১৪ মে জীবনাবসান ঘটে এই মহান শিক্ষাব্রতীর।

সংকলন : মাহবুবুল হক
চন্দ্রাবতী একাডেমি-প্রকাশিত আনিসুজ্জামান সম্মাননা গ্রন্থ থেকে