উঠোনের একপাশে আটপৌরে পুরনো বাগানে
হাওয়ার সেতার শুনে ঘুম ভাঙত
কণ্ঠী ঘুঘু – বনতুলসী-মাধবীলতার।
রোদ্দুরে হাত-পা সেঁকে শীতের সকালে
আমরাও আসতাম সুন্দরের খোঁজে।
পঞ্চশর হাতে যার, যে-অতনু বন্ধ দরোজা খুলে দেয়।
বৃষ্টিধোয়া তরুণী গাছের সাজগোজ
শান্ত চোখে মিশে যেত গোধূলি তরঙ্গে
দশ খুশির বোল আর জয়ঢাক
সারাদিন বাজত এই বুকে।
পাহাড়ের চূড়া ছুঁয়ে
প্রসন্ন সন্ন্যাসী মেঘ
প্রত্যহ সন্ধ্যায়
বড়দের আসরে এসে কথামৃত শুনিয়ে যেতেন।
স্বাধীন আশ্রমমৃগ, কশ্যপের তপোবন …
জেলেদের হাত ঘুরে
আংটি কাহিনি
দিদিমার মিষ্টি ঠোঁটে অপূর্ব লাগত।
দুষ্টু নদী হাততালি দিতে দিতে
ছুটে আসত পাঠশালার কাছে।
আজ ঘুম নয়, ঘুমের মহড়া
শিকড়ের সবটুকু সাড়া শুষে নিয়ে
মেঘের ভেতর দিয়ে হেঁটে যায় অস্থির সময়।
রক্তবীজ লাফিয়ে নামবে, এই ভয়
ভুলে গিয়ে, সৈকতে পা-টুকু ভিজিয়ে ভাবি।
অবগাহনের তৃষ্ণা অপূর্ণই রয়ে গেল হে!
যে-দৃশ্যে কাটাতে হলো দিন। তার রং
গার্হস্থ্য-দুপুরে
চুপচাপ আনমনে বিষাদ শতক গেল লিখে।
জীবন অল্পের লাঠি। স্বপ্নে শোনা পরির কাহিনি
বরাবর ঝুঁকে আছে কবরের দিকে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.