শেষ কবে আমি আমার ভেতর প্রবেশ করেছি
মনে নেই,
শীতের পাখিরা উড়তে উড়তে আমাদের শহরে এলে
শিকারির নেশাতুর চোখের
তাড়া খেয়ে
মায়ের আঁচলে লুকিয়েছিলাম,
প্রবেশ করিনি আমার ভেতর,
প্রেমিক ভেবে একজনকে বাঁশি কিনে দিলাম
আমার খুব কাছের বন্ধুটি
বাঁশি শুনে দুলছে
তিলক সাপুড়ের পোষা সাপিনীর মতো –
সেদিনও মনে হয়নি নিজের ভেতরে ফেরার কথা,
নদীভাঙনের আছিয়া যৌবন ফেরি করতে
কোথায় যেন হারিয়ে গেল,
ওর দুধের শিশুটা কাঁদছিল
তখনো
ভুলেছি নিজের ভেতর প্রবেশ করার কথা,
অতঃপর
তোমার কাছে ঠিকানা চাইতেই
শোক দিবসের পতাকার মতো তুমি অর্ধনমিত হলে,
সেদিন ছিল প্রকৃতই শোক দিবস –
আমিও নতমস্তকে
প্রথম ও শেষবারের মতো প্রবেশ করলাম নিজের ভেতর
আমার একান্ত বসতবাড়িতে …
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.