পঞ্চাশে পা দিয়েছো তুমি – কালের বিচারে
বাল্য, কৈশোর ও যৌবন অতিক্রম করে
আজ তুমি প্রবীণা,
সেই তুমি তোমাকে প্রশ্ন করে দেখো –
কতটুকু পরিপক্বতা অর্জন করে শরীর ও মনে
আলোকিত তুমি – কতটুকু ঐশ্বর্যমণ্ডিত
তোমার হৃদয়, তোমার অস্তিত্ব, দু-ডানা কতটা নক্ষত্রখচিত
চিত্রল বন হরিণী কিংবা দৃষ্টিনন্দন প্রজাপতির মতো পুষ্পমুগ্ধ?
কতটা মুক্তিযুদ্ধসম্মত – ক্রমাগত
স্বপ্নালোকিত কুৎসিত বিমুখ – সমুদ্রশায়িত এক
নিটোল রমণী – পবিত্র উৎসজাত চলতে চলতে খ্যাত
শ্রেষ্ঠ মানবী? বহমান সময়ের কূল ঝাঁপিয়ে
কতটা মহিমা জারিত তোমার দু-ঠোঁট
পদ্মপাতায় সিক্ত শিল্পিত জোছনায়
সভ্যতার মানদণ্ডে
শব্দের সংগীতে বোনা তোমার গ্রীবার ভঙ্গি নিখুঁত, নিখুঁত?
প্রশ্ন করো নিজেকে, তুমি কতটা ফুটেছো – ভেদহীন
অনুকরণীয় চিরায়ু শরীরে মেঘমুক্ত অন্তরঙ্গ তুমি
শাশ্বত কালের কপোলে কতটুকু আলো
আগামীদিনের জন্য কতটা বিদগ্ধ – ঘ্রাণময়ী তুমি?
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.