তারিক সুজাত
১.
ঘুমিয়ে ছিলো
প্রখর রোদে
একলা একটি কূপ
তার গভীরের
গভীর থেকে
তুলে আনলে তুমি
জলের ঝলকানি!
২.
আমার শহর শূন্য
ব্যথাদীর্ণ বৃক্ষ
সারি সারি
জানায় বিদায়
পা
খি
আ মা র
মেঘে মেঘে
দেবে পাড়ি
আমি ধূলিকণা
স্মৃতির ডানায় ভেসে
শূন্য খাঁচায়
এ কা এ কা
উ
ড়ি
৩.
তুমি যখন জাগবে
খুলবে শহর
রোদের বহর
পুরনো এই গন্ধমাখা
টানারিকশা জুড়বে চাকা
মানুষগুলো নামবে পথে
তুমি যখন সাধবে গলা
গঙ্গাজলে মিলবে আমার কপোতাক্ষ
অভিমানী এক কবির কলম
তোমার গলায় তুলে দেবে কালের মালা।
৪.
প্রাণে আমার
আছে যে-জন
দূরে থেকেও
কাছে টানে –
পথ না চিনে
বেরোয় যেপথে
সে-পথ চলে
তার
পিছু পিছু …
আমি পথ না চিনি
না চিনি পথিক
পথের ছায়ায়
পদ্য লিখি!
৫.
তুমি তো আছো
নিত্য আমার সাথে
আরো বেশি থাকো
যখন একাকী থাকি
এসো হাত ধরো
চলো –
এসেছে প্রাণের পথ
পা বাড়ালে মাটি
ও মন চলো …
৬.
ফিরে এসো চোখ
এসো আলো অপূর্ব আঁধার
অনন্ত রাত্রির রোদেলা প্রহর
ফিরে এসো ঘুম
সাথিহারা রাত্রি
মধ্যাহ্ন মধুর
এসো শিল্পের সাথি
খোলা চোখ খোলা মন
জেগে থেকো
অনন্ত ঘুম এসে
ফিরে যাবে জীবনের পথে
শিল্পের যাত্রায়
কোনো যতিচিহ্ন নেই
৭.
কী রে, তুই না ছিলি জিয়নকাঠি
জলের কাছে রেখে এলি
জোয়ার-ভাটা
নাটাই সুতা পড়ে রইলো
খালি ছাদে
কাটা ঘুড়ি মেঘের খামে
ডুব দিয়েছে
তুই না আমার আলো-ছায়া
শান-বাঁধানো ঘাটের কোলে
একলা প্রহর
সবই আছে
শুধু আমার
মন মানে না
মনের শাসন!
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.