বারবার ফিরে আসে মুক্তিযুদ্ধ

মুক্তিযোদ্ধাদের চোখে ঘুম নেই

ঘুম নেই ষোল কোটি মানুষের চোখে।

ঘুম নেই স্বামীহারা স্ত্রীর চোখে,

ঘুম নেই সন্তানহারা জনকের চোখে

ঘুম নেই আমাদেরও চোখে।

যে-রক্তের বিনিময়ে জন্মভিটা আজ স্বাধীন হলো; সে-ভিটায় যখন মুক্তিযোদ্ধাদেরই নিষ্পেষণের শিকার হতে হয়, তখন ঘুম না থাকাই স্বাভাবিক। অস্তিত্বহীনতার এ-যন্ত্রণা তাঁরা প্রকাশ করবেন কীভাবে! এমনই আকুতিভরা নাটক ঘুম নেই। এ যেন মুক্তিযুদ্ধ নতুন রূপে উপস্থাপন। মঞ্চে দৃশ্যের পর দৃশ্য দেখতে দেখতে দর্শকের সারিতে অগণিত চোখে গোপনে পানি ঝরছিল। এক ঘণ্টার বেশি সময় টানটান উত্তেজনা-আবেগে যেন দর্শক ভাসছিলেন। মানবতাবাদী মহাকাব্যিক ধারার এ-নাটক গত ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মূল মিলনায়তনে প্রদর্শিত হয়। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ-রচিত ও জন মার্টিন-নির্দেশিত নাটকটি প্রযোজনা করেছেন মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়।

মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় বাংলাদেশের স্বনামধন্য নাট্যদল। তাদের অসংখ্য নাটক দর্শকমহলে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ১৯৮০ সালের দিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট – যখন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চেতনা ভর করছিল – সে-সময়ে বিশেষ করে ১৯৮৪ সালে বিশিষ্ট নাট্যজন ও মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ ঘুম নেই আখ্যানটি রচনা করেন। এটি উপন্যাসের আদলে গড়া স্মৃতিকথা। উত্তম পুরুষের জবানিতে মুক্তিযুদ্ধের নানা স্মৃতি এতে স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে স্টেরিওটাইপ চরিত্র-ঘটনার প্রচলন তার বিপরীতে এ-লেখায় ফুটে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চিত্র, বিচিত্র রসদ।

১৯৯৪ সালে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় ঘুম নেই-এর মঞ্চ-প্রযোজনা করে। সে-সময়ে নাটকটি বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অজ্ঞাত কারণে নাটকটি প্রদর্শিত হয়নি বহু বছর। সম্প্রতি ১ থেকে ১২ অক্টোবর ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব উপলক্ষে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় নাটকটি পুনর্নির্মাণ বা নবমঞ্চায়ন করেছে।

ঘুম নেই মূলত একজন মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিগাথা। মুক্তির জন্য, সমাজ-জাতি-রাষ্ট্রকে মুক্ত করার জন্য যে-মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন একসময়, সেই মুক্তিযোদ্ধাকেই প্রতিনিয়ত শংকা, অস্থিরতা, অস্থিতিশীলতার মধ্যে জীবনযাপন করতে হয়। ঘুম নেই তাঁদের চোখে। নাটকটি ‘বাচ্চু’ নামধারী চরিত্রের জবানিতে বর্ণিত। এই ‘বাচ্চু’ চরিত্রটি আর কেউ নন – বাংলা নাট্য-আন্দোলনের নাট্যজন, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু। রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তে অস্তিত্বহীনতার শংকা এ-স্মৃতিকথার গভীরে। নাটকে স্থান পায় – রুমী, মানিক, বদি, সমর, গোলাপ, রহিম, রমিজ, টিটো, জাকির, বেলায়েত, নজরুল প্রমুখ শহীদের স্মৃতি।

নাটকের গল্প কখনো চরিত্রকে কেন্দ্র করে, কখনো অপারেশনের নামকে বা বিষয়কে কেন্দ্র করে এগিয়ে গেছে। ঘটনা- উপঘটনায় টানটান উত্তেজনায় প্রায় দেড় ঘণ্টায় মুক্তিযুদ্ধ-দর্শন। মুক্তিযুদ্ধের প্রচলিত ধারণাকে উপেক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু দর্শককে নিয়ে গেছেন প্রকৃত সত্যে মুক্তিযুদ্ধের চিত্রে। শুরুতেই কোরাসে ভেসে আসে –

– বাচ্চু তুমি শাহাদাত চৌধুরীকে বলেছো ভূমিকা লিখতে। কিসের ভূমিকা? যুদ্ধের ভূমিকা তো জাতি লিখেছে রক্তের অক্ষরে। আর যদি হয় এই বইয়ের ভূমিকা তাহলে বলবো এর প্রয়োজন নেই। তুমি তো লিখছো একাত্তরের এপিটাফ।

শুরু হয় নাটক। একে একে ভেসে উঠতে থাকে বাচ্চুর চোখে ১৯৭১-এর অবিশ্রান্ত রক্তক্ষরণের স্মৃতি। মুক্তির সংগ্রামের গভীর শক্তি যেন ঠিকরে ঠিকরে পড়তে থাকে – 

– ওই তো দৌড়ে আসছে অসংখ্য বুলেটবিদ্ধ বুক নিয়ে কিশোর টিটো। … মেশিনগান আর মর্টারের শেলের আঘাতে আমরা বিপর্যস্ত, দিশেহারা, মৃত্যু চিৎকার আর কান্নাকে ছাপিয়ে শত্রুর গোলার আওয়াজ। আমার নৌকার মাঝি – ত্বরিতগতিতে নৌকা ঘুরিয়ে পিছে ফেলে আসা একটি মাটির চারের আড়ালে নৌকা নেওয়ার জন্য দ্রুত বেয়ে যাচ্ছে। … আমি দেখলাম মাঝির শরীর পানিতে দাপাদাপি করছে। কিছুক্ষণ পর দেহটি আর দেখা গেল না। সেই মাঝির নাম জানা হয়নি। হয়তো কোনোদিন জানাও হবে না।

ঘটনার মহাকাব্যিক বিস্তারের সঙ্গে মঞ্চোপকরণ নিতান্তই সহজ-সরল। মাত্র কয়েকটি টুল, বাক্স, লাঠি, কাপড় প্রভৃতি নিয়েই নাট্যের গতি। প্রপস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে লাঠি-ওড়না। লাঠিগুলো কখনো অস্ত্র, কখনো বাড়ি, কখনো দরজা প্রভৃতি রূপে ব্যবহৃত হয়েছে। স্বল্প উপকরণেও মঞ্চ কখনো নিস্পন্দ থাকেনি। নাটকটি বিভিন্ন পর্বে বিভক্ত। রুমী পর্বে উল্লেখ –

স্বাধীনতা পাবার জন্য বদি, রুমী, আজাদ আর জুয়েলদের মরে যেতে হয়।

নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া আলম ভাবে, কেমন করে রুমী মরে গেল।

বদিও কি নির্বিকারভাবে চলে গেল।

আর আমরা বেঁচে আছি ওদের জীবনের বিনিময়ে।

গল্প-গাথা, অভিনয়-সংলাপ, আবহসংগীত ও কোরিওগ্রাফির নৈপুণ্যে মঞ্চে জীবন্ত হয়ে উঠছিল মুক্তিযুদ্ধের চিত্র। নাটকটির দৃশ্যান্তরে গান ব্যবহৃত হয়েছে। স্বাধীনতার পথ যখন প্রায় উন্মুক্ত হয়ে ওঠে তখন গান বাজে –

স্বাধীনতা এসে গেলে মুক্তিযোদ্ধাদের

মরে যেতে হয়, মরে যেতে হয়।।

স্বাধীন দেশ ভালোবাসে মৃত গেরিলাদের।।

মুক্তিযোদ্ধারা মরণকে মাথায় বেঁধে নেমেছে মাঠে। কোনো মমতা তাঁদের আটতে পারবে না, ধরতেও পারবে না; কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা মানিক! স্মৃতি কী পিছু ফিরে তাকাবে না!

আমি মানিকের মার কথা রাখতে পারিনি। মানিক চলে গেল। মানিকেরা মরে যায় তারপর আসে স্বাধীনতা।

এভাবে একের পর আবেগঘন মমতায় স্মৃতি বর্ণনা হতে থাকে। পরিশেষে নতুন করে জেগে ওঠার সজাগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নাটকটির পরিসমাপ্তি ঘটে। বাচ্চুর সংলাপে উল্লেখ –

মা ডাক দে ওদের, সবাই জেগে আছে। বাচ্চু তুমি এশা, সাশা, তাতু, শাওন, খালেদ, রুবাইনা, শায়ান, আলমের জন্য আর একটা বই লিখবে। তার নাম দিও ‘জেগে আছি’। ঘুম নেই মানে তো জেগেই থাকা।

নাটকটি বর্ণনাত্মক অভিনয়রীতির স্কেচধর্মী পরিবেশনা। কোরাসের ধারায় গল্প-উপস্থাপন, পর্যালোচনা-পর্যবেক্ষণ এ-নাটকের শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগুলো কোরাস দৃশ্য নির্মাণ করেছে। বর্ণনা, অভিনয়, সংলাপ, সংগীত ও কোরিওগ্রাফির চলনে উপস্থাপিত। নাটকের বর্ণনায় যখন কোনো ঘটনার সূত্রপাত হয় তখন ঘটনার দৃশ্য তৈরি হয়। অভিনেতারা একই ধরনের পোশাক পরিধান করেছেন। গীত-বাদ্য-নাট্যে অনবদ্য প্রযোজনা।

নাটকে বর্ণনা ও চরিত্রাভিমুখী অভিনয় একীভূত হয়ে উঠেছে। এখানে শিল্পীরা অভিনয় করার প্রবণতার চেয়ে স্মৃতির উপস্থাপনাতেই আন্তরিক ছিলেন। এ যেন কোনো কল্পনার ঊর্ধ্বে। এই আমাদের জীবন; এই আমাদের মুক্তির পথ। মঞ্চে  আলো গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে উঠেছে কখনো কখনো।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা ঘুম নেই নাটকের নেপথ্য শিল্পীরা হলেন : মঞ্চ পরিকল্পনা – খায়েরুজ্জাহান মিতু, পোশাক – আনওয়ার ফারুক, সুর – পার্থসারথী রুদ্র, আলোক – আমিরুল ইসলাম টিপু, কোরিওগ্রাফি – এম.এ. আজাদ, কাহিনিবিন্যাস ও নির্দেশনা – জন মার্টিন। এ-নাটকের প্রযোজনা উপদেষ্টা ছিলেন নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন। মঞ্চের কুশীলবরা হলেন – মীর জাহিদ হাসান, মো. শাহনেওয়াজ, কবির আহমেদ, ফারুক আহমেদ সেন্টু, মনিরুল আলম কাজল, আবদুর রহিম শুভ্র, রিপন, ইকবাল চৌধুরী, আমিনুল আশরাফ, শিবলী সরকার, শাহরিয়ার পলিন, কানিজ ফাতেমা লিসা, স্বপ্নিল, শাহনাজ পারভীন ঝর্ণা, নূর আকতার মায়া, সোহেল আহমেদ, মিজান শান্ত, রাকিব হাসান, নাবিল হাসান, ফয়সাল আহমেদ, মো. ইব্রাহিম মোল্লা, উইলিয়াম নিকসন গমেজ, অর্ণব খান এবং পলি বিশ্বাস।

ঘুম নেই নাট্য প্রসঙ্গে সুভ্যেনিরে উল্লেখ : ‘আমরা ভুলতে বসেছি আমাদের বীরত্বের কথা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা। যারা যুদ্ধ করেছে, যারা যুদ্ধ দেখেছে এবং যারা যুদ্ধের কথা শুনেছে – সবাই একটি অলিখিত প্রতিযোগিতায় যেন শামিল হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ – ‘বর্তমান কাল’ থেকে ‘অতীত কাল’-এ স্থানান্তরিত হয়ে ক্রমাগত কেবল বিবর্ণ ইতিহাস যেন না হয়ে যায়। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেই আমরা যেন ভুলে না যাই সেই সব উজ্জ্বল দিনের কথা, সাহসের কথামালা। কি অসীম সাহস নিয়ে যুদ্ধ করেছে আমাদেরই দেশের মৃত্যুভয়হীন মানুষেরা। মুক্তিযুদ্ধ কেবল বাঙালির জীবনে ঘটে যাওয়া আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বহমান জীবনের চেতনা। প্রতিনিয়ত এই চেতনা শাণিত করে আমাদের সুন্দর জীবন গড়ার সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধ কখনোই শেষ হয়ে যাওয়া কোনো যুদ্ধ নয়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সেই সব সাহসী যুদ্ধের কথা কেবল স্মৃতিকথাও নয়। এই সব সত্যি ঘটনা আমাদের শক্তি জোগায় এবং স্মরণ করিয়ে দেয় আমরা কোনো রাজাকার আলবদরের উত্তরসূরি নই, বরং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী সন্তান সবাই।’          

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বলতে চোখে ভাসে পাকিস্তানি শোষকদের অত্যাচার, নিপীড়ন; মুক্তিযোদ্ধাদের বন্দুক হাতে ট্রেনিংয়ের দৃশ্য, পাঞ্জাবি-টুপি পরিধান করা রাজাকার, আল-বদরদের কুচক্রী নানা আচরণের দৃশ্য। প্রচলিত এই স্টেরিওটাইপ ধারণাকে ভেঙে দিয়েছে নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চুর ঘুম নেই স্মৃতিকথা। তিনি প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের স্বরূপকেই তুলে ধরতে ব্যাকুল হয়েছেন এ-নাটকে।

প্রযোজনা মনস্তত্ত্বে মুক্তিযুদ্ধকেই ভিন্নভাবে দেখানোর এক অভীপ্সা কাজ করেছে বলে অনুমেয়। তাছাড়া মূল আখ্যানের বর্ণনাকারী সমস্ত নাটকে ‘বাচ্চু’ নামে চরিত্রে সংযুক্ত হয়েছে। এতে নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু ও তাঁর অনুসঙ্গীদের শ্রদ্ধা জানানোরও প্রচেষ্টা প্রমাণ করে। ভিন্ন ভিন্্ন স্কেচধর্মী দৃশ্যগুলোর মধ্যে এক অরৈখিক গল্পরেখা তৈরি করেছেন নির্দেশক। কাহিনির কোনো একক বৃত্ত নেই। বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর ঘটনার ট্র্যাজেডিই এ-নাটকের গল্প। নাটকের পরতে পরতে নানা রকমের আবহ ও গান প্রযুক্ত হয়েছে। এ-গানগুলো যেন চরিত্র ও ঘটনার আবেগকেই উসকে দেয়। সম্মিলিত এক প্রয়াস। একই সঙ্গে ঘটনার বর্ণনা, দৃশ্যনির্মাণ, চরিত্রাভিনয় ও আবহে এক অনুপম দৃশ্যকাব্য তৈরি করেছে। সংলাপ প্রক্ষেপণ কিংবা মডিউলেশনের গুরুত্বের চেয়ে এখানে জীবনসংগ্রাম প্রধান হলেও দর্শকের কাছে বাচিক অভিনয় সুস্পষ্টই বলে মনে হয়েছে। নাটকের দৃশ্যে চরিত্রগুলো আঞ্চলিক হলেও বর্ণনা কিংবা সংলাপে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার হয়নি। প্রতিটি চরিত্রই প্রমিত ভাষায় উক্তি-প্রত্যুক্তি করেছে।

সাত্ত্বিক অভিনয়ের চেয়ে শিল্পসত্য গুরুত্ববহ। নাটকটি দ্বন্দ্বভিত্তিক না হলেও নাটকের পরতে পরতে রয়েছে দ্বন্দ্ব। নাটকটি ঘটনার বর্ণনানির্ভর উপস্থাপনা। প্রত্যেকে মিলে কোরাস এবং পরক্ষণে একেক চরিত্রে একেকজন অভিনয় করেছেন। সাধারণ পোশাক, বাহুল্যহীন মঞ্চসজ্জা ছাড়াও নাটকের অন্তর্শক্তিই দর্শকের মধ্যে আবেগ সঞ্চার করেছে। ঘুম নেই নাটকটি অপূর্ব এক নান্দনিক প্রযোজনা।