যেতে যেতে : দিন যায় রাত্রি যায়

দিন চলে যায়, পায়ে পায়ে রাত্রি আসে

স্বাভাবিকভাবে আসে,

আসতে হয় আসে

নিজস্ব নিয়মে আসে

যখন যৌবন ছিল

রক্তে শোনা যেত বাঘিনীর ডাক

চিতাবাঘ এ কোণে ও কোণে, জঙ্গলে, সাবুই ঘাসের ঝোপে

লুকিয়ে থাকতো উত্তুঙ্গ জীবনে ঘাপটি মেরে থাকা

মৃত্যুর মতন

স্বপ্নের মতন

বিশ্বাসের মতো

তারা সব ভেসে যাচ্ছে

তারা আর দেহ নয়, ছায়া

একটা দুটো নয়

ছায়ার পিছনে ছায়া

ছায়ার ভিতরে ছায়া

খণ্ড খণ্ড, ছিন্ন ভিন্ন

আপাতদৃষ্টিতে জোড়া

বীক্ষণে বিক্ষত

অণু পরমাণু

হাট বাজার মাঠ ময়দান সংগ্রাম মিছিল অবরোধ থেকে

একান্ত নিজের কাছে, নিজস্ব নির্জনে, বাক্যাংশে ও শব্দে

শিকড়ের জালে জটে

অশ্বত্থে ও বটে

ওরা থেকে যায়

এই ছায়ার ভিতরে অকস্মাৎ দেখি

হতমø­ান আমার দু’চোখ আমার মুখের দিকে, হিম আলো

কপালের নিচে চোখের জায়গায় দুটো আদিম গহ্বর

সেইখানে বসে আছে অনাদি কালের শকুন-শকুনি।

দিন যায় রাত্রি যায়, কোথায় কোথায়?