যোগ-বিয়োগের খতিয়ান

ক.

বাঁধাধরা ইচ্ছেগুলো জটিল রাতের ঠিকানাতে, ডুব মেরে

নম্রতা ভাঙে ;  ঘুরতে থাকে ইঙ্গিতবহভাবে। বিশেষ

                                                ধরনের

সীমিত প্রকাশবাদ ভিজে যায় নতুন দর্শনে – প্রচলিত

                                                 সূত্র সব

ক্রমান্বয়ে ভুলে যাচ্ছে রোজ। দোলাচলের খোরাকে

                                         খতিয়ান –

জোড়া দিচ্ছে আশানিরাশার। – রসবাদ অসুখী বুঝি।

দ্যোতকতা ছাড়া মন্ময় – তন্ময় খুঁজে পায় না রীতির

                                                  কোনো

স্বস্তির রাত …

খ.

মহল্লার ব্যাখ্যাহীন লিখিত দলিলে কিছু মতিগতি মেপেছি

নাভিকেন্দ্রে জড়ো করেছি চড়াই-উতরাই।

আঙ্গিকসন্ধানে স্নায়ুর সুতোয় সেলাই করি কাঁথা,

উপযুক্ত অপেক্ষায় প্রহরী সেজেছি বারবার; সব

ঝলমলই পরস্পরে ঘনীভূত।

নিরাপদ রাতের সম্ভারে –

দূরত্বটুকু যে কড়া নাড়ছে না আর …

গ.

মনে হয়,  সম্পাদিত রাতটা অস্তিত্বের যাবতীয় স্বপ্নে

গা ঘেঁষে ছলকে ওঠে ছন্দে।

ব্যতিব্যস্ত চঞ্চলতা,  একঠায় দাঁড়িয়ে থাকে না।

কারুকৃতি জীবনযাপনে – পরিচিতি পায় জ্যোৎস্না।

মনোযোগ দিয়ে রাত লুফে নেয় ধ্বনি

খোঁজখবরে দেখি প্রচ্ছদে আবৃত হয়েছে সত্য।

ঘ.

নির্ঘুমের তোলপাড়ে – কোন গোলাপই ফোটে না।

কেউ না বুঝুক এরকম পটভূমি

হামাগুড়ি দিয়ে জমা করে ব্যবধান।

অন্ত্যমিলের ধ্রুপদী চমকে ওঠে খসে পড়ছে ;

যথাযথ নিয়োজিত করেছে সম্পর্কের প্রহরী

রাতের সীমানায়।

অন্ধকারে থরথর বলে – সুতলিবাঁধা পহর,

নির্ঘুমও স্থবির বিধানে ওই …

ঙ.

জিরিয়ে নেওয়ার আড়ালে

বিয়োগচিহ্নের টোকা

খামচে ধরেছে বৃষ্টিরোদ।

ক্রমান্বয়ে ভেসে আসে তছনছ ছন্দ,

পিষ্ট হয়ে যাচ্ছে নিরপেক্ষ –

সাজুগুজু করা মাতলামোর

ভেজা নড়াচড়াও …