শকুন্তলার পোষা হরিণীর চোখ

রেখে দিতে পারো সম্পর্কের আলোকবর্তিকা, কিছু আবর্জনা

হৃদয় নামক এক দেহগহ্বরের চোরাগোপ্তা পথে

সংশ্লিষ্ট খণ্ডাংশে দেহানুভূতির মধ্যে আবেগের অভ্যুদয়

কিছু ক্লান্তিবোধ, কিছু ফুল ফুটবার সাড়া …

পাতা গজাবার ধ্যানে বৃক্ষের আহ্লাদে আর গণকবরের পাশে

মৃত্তিকার অভিমান রেখে দিতে পারো, কিছু পিছুটান;

রাত্রির কথোপকথন শেষে জীবনের সমতা আনতে পারে

এ রকম কিছু নাম, কিছু সংহত কুঁড়ি … নীলপদ্মের ডাঁটা ঘিরে

কিছু হাওয়ার অক্ষর, কিছু অপার্থিব বৃষ্টিপাত …

বিশেষ জীবনার্থে প্রতিবাদী স্বর আর কিছু শস্যকলি

মৃত্তিকার তপস্যা দলিল, কিছু চিটাধান … স্তূপ স্তূপ

মানবতানুভূতির সর্বোচ্চ সুন্দর, শ্রেষ্ঠ সংগীত

সুষম দু-ঠোঁট … হতে পারে সুন্দরের শূন্য হাতে

পৃথিবীর নীরব ক্রন্দন … অগোছাল সমাজব্যবস্থার জন্য

দায়ীদের নাম,আত্মত্যাগী মানুষের বুকে রাখা মুখের

নিশ্চিন্ত ঘুমের দৃশ্য, সবুজাভ পাটপাতার মতো ভালোবাসা;

অনিন্দ্যসুন্দরের পাশে অনিন্দ্যকুৎসিৎ …

আর শেকড়ের মতো সাদা বিস্তৃত অতীত

মহাকাশ ছায়াপথে গীতল নক্ষত্র, ঈষৎ বাতাসে দোলা

সুগন্ধি যাপন, অনন্ত আলেখ্যে ঝুলে আধপাকা

ধানের ছড়ার পাশে শকুন্তলার পোষা হরিণীর ডাগর চোখ, কিছু মুখ।