শিল্পী মনসুর উল করিম নব্বইয়ের দশকে ‘মাঠের গল্প’ সিরিজের চিত্রগুচ্ছে চিত্ররূপময় এক আবহ সৃষ্টি করে এদেশের চিত্রানুরাগী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হন। পরবর্তীকালে তাঁর চিত্রে মূর্ত হয়েছে মানুষের স্বপ্ন, আশা ও আকাঙ্ক্ষা। যদিও তাঁর সৃষ্ট মানুষেরা গল্প করে, মাছ ধরে, প্রতীক্ষা করে ও বিশ্বাসী হয়, তবু কোথায় যেন তারা এক অনিশ্চয়তাবোধে তাড়িত হয়। সমকালের অবক্ষয় ও ভাঙন তাঁর চিত্রে কখনো প্রাধান্য বিস্তার করে। এই বিষয়াবলি নিয়ে তাঁর সৃষ্টি তাৎপর্যময় হয়েছে পরিপ্রেক্ষিত-জ্ঞানে, পরিমিত রং-ব্যবহারে ও সংবেদনগুণে।
১৯৭২ সালে তিনি চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক ডিগ্রি ও ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএফএ ডিগ্রি অর্জন করেন। সত্তরের দশকেই তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এই সময়ে তিনি বিশিষ্ট চিত্রকর রশিদ চৌধুরীর সান্নিধ্যে আসেন। তখন থেকে তাঁর চিত্রসাধনা ও মানসযাত্রা নতুন দিকে মোড় নেয় এবং চিত্রভাষা স্বতন্ত্র হয়ে ওঠে। তাঁর শিল্পভাবনায় ঐতিহ্য ও আধুনিকতার যুগ্মতা তাঁকে নবীন আলোকে উদ্দীপিত করেছে। এভাবেই নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সাধনার মধ্য দিয়ে বিশিষ্ট চিত্রকর হিসেবে তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন।
১৯৫০ সালের ১লা মার্চ রাজবাড়ীতে তাঁর জন্ম। মৃত্যু ৫ই অক্টোবর ২০২০ তারিখে ঢাকায়।
প্রচ্ছদের চিত্রটি ২০০৯ সালে অ্যাক্রিলিকে আঁকা।
সংগ্রাহক আবুল খায়ের।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.