বৈশাখ মাসে যে বর্ষাকালের মতো বৃষ্টি হতে পারে সেটা বাদলার আগে জানা ছিল না। বৃষ্টি আর বৃষ্টি – সে কী বৃষ্টি। ছিচকাঁদুনে মেয়ে হয়ে আকাশ যেন রাতদিন কেঁদে-কেটে একসা। ঘর থেকে বেরোনো যায় না। ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ানো যায় না। মাঠে বল খেলার নাম করে গঞ্জেও যাওয়া যায় না। দিনের বেশিরভাগ সময় শুধু ঘরে শুয়ে-বসে থাকা। ঘর মানে নৌকা। নৌকার ভেতর কোনোরকম একাত-ওকাত হয়ে শুয়ে থাকা, নয়তো বসে থাকা। সারাদিন বাপ-মা, নানির বকবকানি, শাসন আর উপদেশ শুনতে শুনতে দিন গুজরান করা। 

সকাল থেকেই আকাশ সিদ্ধ ডিমের ভেতর যেরকম ছাইরঙা কুসুম থাকে সেরকম হয়েছিল। দুপুরের আগ দিয়ে বৃষ্টির গুরুগুরু আওয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যখন চারদিকের আকাশ কালো হয়ে আসছিল তখন নৌকার ভেতর আধহেলান দিয়ে শুয়ে থাকা বাদলার মনটা মুহূর্তে গভীর বেদনায় মুচড়ে উঠল। বাদলা বৃষ্টি-বাদলের দিন একদম দেখতেই পারে না – একেবারেই অসহ্য। এরকম বৃষ্টি-মেঘ-বাদলের দিন দেখলেই বাদলা খেঁকিয়ে ওঠে, আল্লাহর কি গজব পড়ছে দুইন্যায় – মেঘ-বাদলের দিন নাকি আল্লাহর গজব! রেগে গেলে আর মন খারাপ হলে বাদলা কী যে বলে তার মাথামুণ্ডু নেই। বাদলার এ-ধরনের কথা শুনে ওর নানি মুখ টিপে হাসে। বাদলার নানি সবেজান বেগম বলে অন্য কথা, বাদলারে বাদলা, তর যেইদিন জন্ম হইছিল সেইদিন এইরকম বিষ্টি-বাদলার রাইত আছিল। বর্ষার ফলার মতন বিষ্টির ডগাগুলা আইসা পড়তাছিল নৌকোর ছাদে আর সেই মেঘ-বাতাসের দাপটে আমাগোর নৌকো কলার ভেলার মতন ভাসতাছিল। সেই রাইতে অনেক ঝড় হইছিল। এইদিকে তর মায়ের শইল খারাপ হয়া গেল আর তুই খালি কাঁপতাছছ – হায়রে কি কাঁপন যে তুই কাঁপতাছিলি সেই রাইতে। নানি শুধু বলেই যায়, তর আর তর মায়ের এ-অবস্থা দেইখা তর বাপে ভয় পায়া গেছিল অনেক। শেষে ভোর রাইতের দিকে আস্তে আস্তে কইরা মেঘের দাপট কমতে থাকল – নানি যখন বাদলাকে তার জন্মের কথা বলে, তখন সে নানির দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকে। নানি সবশেষে বলে, বুঝছছ বাদলা, সারা রাইতের এই ধকলের পর ভোরবেলা সব থাইমা গেলে আশেপাশের নৌকা থেকে সবাই আইসা চান্দের টুকরার মতন তরে দেইখা খুশিতে ডগমগ হয়া কইল, সবেজান বেগম আকাশ থেকে কেউ ভুল কইরা বুঝি একটা পরির বাচ্চারে তোমার নৌকার মইধ্যে ফালায়া গেছে -উজ্জ্বল একটা নক্ষত্র এসে পড়ল পৃথিবীতে।

ছোটবেলা থেকে বাদলার রূপের বিচ্ছুরণে সবাই মুগ্ধ। জন্মের পর বাদলার কী নাম দেওয়া হবে তা নিয়ে মা আর নানির মধ্যে কত মান-অভিমান। বাবা-মা বাদলার একটা করে নাম দিয়েছে। বাবা দিয়েছে – আলো আর মা দিয়েছে – দুখাই। মায়ের মনে নাকি অনেক দুঃখ – তাই মা বাদলার এরকম নাম দিয়েছে। মায়ের দেওয়া এই নাম বাবার পছন্দ না। বাবা মাকে বলে, আলাইবালাই নাম রাখলেই হইব? আমার পোলার নাম দুখাই হইতে যাইব কোন দুঃখে –

বাবা-মায়ের নামে না, নানির দেওয়া বাদলা নামেই সবাই ওকে ডাকে। আর বাদলাটাও হয়েছে নানির ভীষণ বাদুক।

দুই

বাদলার বারো-তেরো বছরের জীবনে সে কখনো বৈশাখ মাসে আষাঢ় মাসের মতন এরকম ঝড়বৃষ্টি দেখেনি। সারাদিন থেকে থেকে বৃষ্টি। এই জোরে তো এই আস্তে। বৃষ্টির মধ্যে কোথাও বের হওয়া যায় না। দিনের সবটা সময় বাদলার কাটে নৌকায়। আকাশ কালো হয়ে থাকার ফলে দুপুরকেও মনে হয় সন্ধ্যা। জটলা জটলা মেঘ এদিক-সেদিক। আকাশের জমিনে রোদের ছিটেফোঁটারও দেখা নেই।

সবেজান বেগম গায়ে কাঁথা জড়িয়ে টুকটুক করে বাটা পান চিবুচ্ছিল। পান খেলে তার ঠোঁট আলতার মতন রক্তলাল দেখায়। পান চিবুতে চিবুতে সে বাদলাকে বলল, বাদলারে, তুই জানি দিন দিন কিমুন হয়া যাইতাছস।

নানি চুপ করে থাকতে পারে না। সারাক্ষণ কথা বলার অভ্যাস, সারাদিন ঘরে শুয়া-বয়া থাকলে পেট চলবো! 

নানির কথায় বাদলা অবাক হয়। নানি নৌকাকে সবসময় ঘর বলে। 

নৌকা কি কখনো ঘর হয়! 

নৌকাকে ঘর বলায় বাদলা চোখ ছোট করে তার দিকে তাকায়। নানি কপালে চিন্তার শিরা-উপশিরা ফুটিয়ে তুলে বলল, বাদলা তরে লয়া আমার খুব চিন্তা হয় – তুই কেমনে চলবি। এই বয়সে তুই বাপ-মার লগে সাপ খেলায় যাস না, সাপ ধরতেও যাস না। কাম-কাইজেও তোর মন নাই। সারাদিন বাউলের বেশ লয়া খালি ঘুরছ-ফিরছ  – বলে নানি লম্বা করে একটা দীর্ঘশ^াস ফেলে। নানির দীর্ঘশ^াসের ঢেউ বাদলার গায়ে এসে লাগে – সে সেই ঢেউ বুঝতে পারে। নানি বলেই যাচ্ছে, তর যে কী অইবো হেই চিন্তায় আমার মাথায় টিশ-টিশ কইরা বেদনা করে।

বাদলা নানির কথায় বাধা দেয়, নানি, আমার এইগুলান বালা লাগে না। সাপে গো ধইরা-বাইন্ধা খেলা দেহান আমার পছন্দ না। আমারে যদি বাপের লগে এইসব কাম করতে কও তাইলে আমি তোমগো ছাইড়া যেইদিকে দুই চক্ষু যায় হেইদিকে চইলা যামু –

বাদলার কথায় নানির যেন হুঁশ ফেরে। একটা মাত্র নাতি তার। আর সে যদি সব ছেড়েছুড়ে দু-চোখ যেদিকে যায় সেদিকে চলে যায় তাহলে সবেজান বেগমের কী হবে? 

বাদলাকে জড়িয়ে ধরে নানি বলে, ইমুন অলুক্ষইণা কথা আর মুখে আইনো না ভাই –

তিন

দুপুরের অনেক পরে দিয়ে আকাশে দরিদ্র মানুষের সঞ্চিত অর্থের মতো ছিটেফোঁটা রোদ ওঠে। রোদ পেয়ে চারদিক ঝলমলিয়ে ওঠে! আর তাতেই বাদলার যে কী আনন্দ! নানি ততক্ষণে চোখ বন্ধ করে মিহি স্বরে নাক ডাকতে শুরু করেছে। বাদলা খুশিতে এক লাফে নৌকা থেকে মাটিতে নেমে পড়ল। কয়েকদিনের বৃষ্টি পেয়ে মাটি কাদা-কাদা আর নরম হয়ে আছে। কী নরম মাটি! ঘাসগুলিও মাটির মতো নরম হয়ে আছে।

বাদলা নৌকা থেকে লাফ দিয়ে নিচে নামল।

ঘাসগুলি কি বাদলার পায়ের চাপ সামলাতে না পেরে উঠেই গেল! না। বাদলা নৌকা থেকে মাটিতে নেমে দু-হাত দুদিকে উঁচিয়ে ধরল যেন সে একটা ডানা মেলা অচিন পাখি। মুখটা হা করে বুকভরে নিশ^াস নিল সে আর অমনি বাদলার নাকে একটা অপরিচিত গন্ধ এসে ধাক্কা মারল।

কিসের গন্ধ!

নাকি কদম ফুলের!  

নাকি নতুন ধানের!

নাকি ঘাস কাটলে যে একরকম

নাক-বন্ধ-হয়ে-আসা গন্ধ বের হয় সেরকম গন্ধ!

নাকি জলের অতল গহ্বরে গজিয়ে ওঠা লতাগুল্মের!

বাদলাদের নৌকা খালের একেবারে শেষ মাথায়। এদিকটায় পানি বেশ ঘোলা আর জমাটবাঁধা। খালের নিচ থেকে মাটির সোঁদা গন্ধ যেন পাক খেয়ে পানির পরত ঠেলে ওপরে উঠে আসছে! গন্ধে বাদলার দম কেমন বন্ধ হয়ে যায়। বুকটা ধরে আসে। বাদলার কী হয় সে নিজেও বুঝে উঠতে পারে না। বাদলা নৌকা থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ল, তখন নানি মাটিতে কিছু একটা পড়ার শব্দে আন্দাজ করতে পারল। বাদলার পেছন পেছন নানি ডাকাডাকি করতে থাকে। চোখ বন্ধ করে দৌড়াতে থাকে বাদলা। নানির ডাক বাদলার কানে পৌঁছায় না। পেছন থেকে বাদলা শুনতে থাকে, নানি বলে  যাচ্ছে, বাদলারে বাদলা, জোয়াইরা পানিতে বেশি মাতিছ না। জ্বরজারি হইব, কাশতে কাশতে মরবিরে বাদলা –  কে শোনে কার কথা!

বাদলা ফিরল সন্ধ্যার পরপর।

বাবা-মা আজকাল বাদলার সঙ্গে কম কথা বলে। নানিও বাবা-মায়ের সামনে বাদলার সঙ্গে কথা বলে না। নানির ভাবটা এরকম, সেও তাদের দলে। খাবারের সময় দু-একটা খুচরো কথা যাওবা হয় তাও বাদলাকে বাদ দিয়ে তিনজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। বাদলা দেখে, হারিকেনের আলতো আলোয় মায়ের নকশাকাটা নাকফুলটা মসৃণ নাকের অগ্রভাগে ঝুলে থাকা তারার মতো মিটমিট করে জ্বলছে। মাকে তখন বাদলার কত যে ভালো লাগে! বাবা বাদলাকে নানির চেয়েও বেশি আদর করে; কিন্তু বাবা সেটা প্রকাশ করতে চায় না। 

বাদলা কি কম চালাক! সে বাবার এই ব্যাপারটা ঠিকই টের পায়।

চার

রাতে বাবা-মা ঘুমিয়ে গেলে বাদলা নানিকে অন্য কথা বলে নৌকা থেকে ধীর পায়ে নামিয়ে বাইরে নিয়ে আসে। বিকেল থেকে বৃষ্টির তোড়ে জমির মাটি ছিচকাঁদুনে মেয়েদের মতো বসে গেছে। পায়ের তলায় নরম ভেজা মাটি। চারদিকে ঠান্ডা বাতাস। পূর্ণিমার আলোর ছিটেফোঁটা এসে পড়ছে। খালের এদিকটায় খুব একটা পানি নেই। দূরে পানির ওপরে আলো পড়ে চিকচিক করছে। খালের আশেপাশে গাছগাছালি। খালপাড়ে বউন্যা গোটার গাছ ঝুঁকে আছে। বউন্যা গোটা দেখতে অনেকটা কৎবেলের মতো গোটা – গোটা বলে এ-অঞ্চলের মানুষ এই গাছকে বউন্যা গোটার গাছ বলে। ধারেকাছে কোথাও চেনা পাখির ডাক ভেসে এলে নানি বলে, বাদলা, আমারে কই লয়া যাছ?

বাদলা গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকা পাখির সন্ধান নির্ণয় করার চেষ্টা করে বিফল হলো। কী পাখি ডেকে উঠল! পাখিটার ডাক খুব চেনা মনে হলো বাদলার। বাবা চিনিয়েছিল তাকে এই পাখি। বাদলা খানিকক্ষণ চুপ থেকে নানিকে বলল, নানি জীবনে এইরকম পূর্ণিমার রাইত পাইছো? 

নাতির কথা শুনে সবেজান বেগম না হেসে পারে না। নানি হেসে বলল, আলাই-বালাই কথা বাদ দে। এই জীবনে পূর্ণিমার আলো বহুত দেখছি – অহন ক, তুই আমারে লয়া কই যাবি?

নানির দিকে তাকায় বাদলা। একটু হেসে দিয়ে সে বলল, নানি সাপ দেহানের লাইগ্যা তোমারে এইহানে লয়া আইছি –

এবার বাদলার কথায় সবেজান বেগম সত্যি সত্যি চমকে ওঠে। নানি বাদলার দিকে আগের চেয়ে আরো ভালো করে তাকায়। বাদলা তখন নানিকে কিছুটা পেছনে ফেলে পূর্ণিমার আলো পড়ে ডিমের কুসুমের মতো সরু আলো পড়া খালপাড়ের মাটির চিকন রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছে।

নানিকে নিয়ে বাদলা যাচ্ছে বিলতারার দিকে। বিলতারার দিকে গেলে দেখা মিলবে সাপের। বাদলার সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে পা ধরে আসে নানির। অথচ বাদলা যেন রাজ্যজয়ের নেশার আনন্দে খুশিতে প্রায় উড়ে উড়ে যাচ্ছে।

বিলতারার বড় সড়কে এসে থামল বাদলা। তারার মতো বিল বলে এর নাম হয়েছে বিলতারা। বর্ষাকালে এই বিল ফুলেফেঁপে নদী ছাপিয়ে সাগরের রূপ পায়। চারদিকের জমি তখন বিলতারার পেটের ভেতরে বাসা বাঁধে। বাদলার সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে নানি হাঁপিয়ে ওঠে। বিলতারার মাঝখানে দেড় মানুষ উঁচু চওড়া মাটির সড়ক। সড়কের দুই পাশে ডুবে থাকা খোলা ধানিজমি। ডুবে থাকা জমি থেকে হু-হু করা ঠান্ডা বাতাস রাতের নিস্তব্ধতাকে ভাসিয়ে শরীরে অনুভূত হয়। চারদিকে সুনসান নীরবতা।

বাদলা আর নানি বিলতারার সড়কে রাতের আকাশে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকে। নানির কী হলো বাদলা বুঝতে পারল না। নানি বলল, বাদলা, তুই আমারে কই আনলি? এত সুন্দর চাইরো দিক – বলে নানি সামনে-পেছনে তাকাতে থাকে। ততক্ষণে বাদলা নানির কাছ থেকে সরে গিয়ে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বাদলা দূর থেকেই নানিকে বলল, নানি, তুমি সাপ দেখবা না?

বাদলা সবেজান বেগমকে বলছে সাপের কথা! 

এতদিন পর তার নাতির মতিগতি ফিরেছে, ভেবে নানির মনে আনন্দ আর ধরে না। নানি বলল, কই? কই তোর সাপ?

বাদলা তখন তার সামনে বিলতারার জলে ফুটে থাকা রাজ্যের শাপলা আর কচুরিপানার ফুল দেখায় নানিকে। পূর্ণিমার আলো পেয়ে শাপলা আর কচুরিপানার ফুলগুলি অন্যরকম সৌন্দর্য নিয়ে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সাপের মতো পানির তলা থেকে ফণা তুলে শাপলাগুলি বাদলাকে যেন কিছু একটা বলছে। বাদলা সেই কথা বুঝতে পারে।

ফুলগুলির দিকে তাকিয়ে নানি বাদলাকে আবার বলল, তুই না বলে আমারে সাপ দেহাবি? কই তোর সাপ? 

বাদলা তার সামনে ফণা তুলে থাকা শাপলাগুলিকে দেখিয়ে নানিকে বলল, তোমার চোখের সামনে হাজার হাজার সাপ, আর তুমি কও কই সাপ?

কিছুক্ষণ চুপ থেকে নানি বুঝতে পারল বাদলার কথা।

পাঁচ

বিলতারা থেকে উঠে আসা রাতের ঠান্ডা বাতাস এসে বাদলা আর সবেজান বেগমকে মোহাচ্ছন্ন করে ফেলে। দিগন্তবিস্তৃত বুকে মৃদুমন্দ বাতাস পেয়ে বিলতারার বুকে ফুটে থাকা শাপলা আর কচুরিপানার ফুল সাপের মাথার মতো দোল খাচ্ছে।

বাদলা তন্ময় হয়ে সেদিকে তাকিয়ে থাকে। কী এক ভালো লাগায় বাদলার বুকে তোলপাড় হচ্ছে সে বুঝে উঠতে পারে না। নানির কথায় বাদলার জ্ঞান ফেরে, বাদলারে বাদলা, সারাজীবন সাপ দেখতে দেখতে আমাগো চোখে ছানি পড়ছে। অহন ফুলের মইদ্যেও আমরা খালি সাপ খুঁজি, সাপের ঘ্রাণ পাই …

নানি বাদলাকে জড়িয়ে ধরে।

বাদলা আর সবেজান বেগম বিলতারার মাঝখানের উঁচু সড়কে সবকিছুকে ঢেকে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।