চাণক্য বাড়ৈ
এই যাত্রা সমাধির দিকে – ধ্যানমগ্ন থেকে এইখানে কিছুটা মৃত্যুর অভিনয়
করা যাক – ভুলে যাওয়া যাক সেই মুহূর্তটিকে, যখন জ্বলমত্ম চিতায় একখ- –
সমিধ কাঠ তুলে দিতে গিয়ে জীবনের দাম সবচেয়ে বেশি মনে হয়েছিল –
আহা অবিনাশী গান, বাঁশির শরীরে সাতটি ফোঁড়ের বেদনা গেঁথে দিয়ে, তুমি,
এতখানি মধুর হয়েছ – আহা রং, কত গ্যালন বৃষ্টি ঝরিয়ে তবে উদিত হয়েছ
বাঁকা রামধনু – আর কতটুকু মৃত্যুর অভিনয় করে পার হওয়া যায় মৃত্যুর
তুষার-পিচ্ছিল গিরিখাত –
সেই সান্ধ্যপাখিটিকে আর দেখি না – যে-পাখি গাছের প্রতিটি পাতায় মৃত্যুকে
নিয়ে লিখে রেখেছিল জ্ঞানগর্ভ মুখবন্ধ – সেই গাছটিও নেই আজ –
তবু আমি, প্রতিদিন তার নিচে বসে থাকি বোকা বুদ্ধের মতো –
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.