স্থান পরিবর্তন

হাশেম আলীর সকালটা শুরু হয়েছে চরম বিরক্তি দিয়ে। ঘুম থেকে উঠে মধু দিয়ে লেবু-পানি খেতে গিয়ে দেখলেন, মধুর বয়াম কিচেন ক্যাবিনেটে তার নির্ধারিত জায়গায় নেই। খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে দেখা মেলে, কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয় না। বয়াম একদম খালি। কাউকে জিজ্ঞাসা করবেন তারও উপায় নেই। সবাই ঘুমাচ্ছে। শুধু লেবু দিয়ে পানি খাওয়ার কথা ভাবলেন একবার। লেবুর টকের কথা মাথায় আসতেই মুখের ভেতর জিহ্বা তার স্বাভাবিক অবস্থান ছেড়ে নড়েচড়ে বসল। সিদ্ধান্ত নিলেন, মধু এনেই তারপর লেবু-পানি খাবেন।

মধু কেনার জন্য ফ্ল্যাট থেকে বের হতেই মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গেল। একটা জুতা নির্ধারিত জায়গায় আছে। আরেকটার হদিস নেই। একটু সামনে গিয়ে সিঁড়ির দিকে তাকাতেই চোখে পড়ল জুতাটা কয়েক ধাপ নিচে পড়ে আছে। জুতা পায়ে দিয়ে লিফটে না উঠে সিঁড়ি দিয়েই নিচে নামলেন। বাসার দারোয়ান গেটে নেই। গ্যারেজের এক কোনায় গিয়ে মোবাইলে কথা বলছে। হাশেম আলীকে দেখে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলো। সালাম দিয়ে পকেট গেট খুলে ধরল। ভীষণ ভয় পেয়েছে সে। সালামের সময় সাধারণত তার হাত যে পর্যন্ত ওঠে আজ তার চেয়ে অনেক বেশি উঠে গেছে, একদম সোজা হয়ে।

হাশেম আলী সোজা চলে গেলেন মিরপুর-৬ নম্বর বাজার মসজিদের পাশের দোকানটায়, যেখান থেকে তিনি নিয়মিত সুন্দরবনের খাঁটি মধু কেনেন। দোকান বন্ধ। খুব শিগগির যে খুলবে তারও সম্ভাবনা নেই। কারণ দোকানের সামনে বড় একটা কাগজে বিজ্ঞপ্তি লিখে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া আছে – ‘স্থান পরিবর্তন’।  নিচে যে-ঠিকানা দেওয়া সেটা মিরপুর ২ নম্বরের। মধু কেনার জন্য এত দূরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই হাশেম আলীর। তাঁর রাগ বাড়ছে। এটা তিনি বুঝতে পারছেন। কারণ তাঁর ঘাড় ব্যথা করছে। তার মানে প্রেশার বেড়েছে। রাস্তার পাশের এক ওষুধের দোকানে গিয়ে কাঠের বেঞ্চে বসলেন। প্রেশার মাপলেন। ১৪০-৯০। চোখ বন্ধ করলেন। ভাবলেন, তিনি অহেতুক রেগে যাচ্ছেন। কয়েকটা জিনিসের একটু স্থান পরিবর্তন হওয়াতে তিনি অনেক বেশি রেগে গিয়েছেন, যা মোটেও সমীচীন হয়নি হাশেম আলীর।  

হাশেম আলী গ্রামে বড় হয়েছেন। বগুড়া শহর থেকে ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে কাহালু থানার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে। সেখান থেকে স্কুলজীবন শেষ করে অনেক চিন্তা মাথায় নিয়েই স্থান পরিবর্তন করে আসেন বগুড়া শহরে। কলেজজীবনের দুই বছর কাটে সেখানে। তারপর আবার স্থান পরিবর্তন। জেলা শহর থেকে এবার বিভাগীয় শহর। বগুড়া থেকে রাজশাহী। সেখানে চার বছরের পড়া শেষ করলেন সাত বছরে। এই সাত বছরে সংগ্রামী ছাত্রদের কল্যাণে কতবার যে হল থেকে স্থান পরিবর্তন করে হাদীর মোড়ে মেসে উঠেছেন, আবার মেস থেকে হলে ফিরে এসেছেন তার ইয়ত্তা নেই। আট বছরের মাথায় যখন সার্টিফিকেট হাতে পেলেন, তখন দেখেন তাঁর নাম ‘হাশেম আলী’ থেকে ‘হামেশ আলী’ হয়ে আছে। ‘শ’ ও ‘ম’-এর পারস্পরিক স্থান পরিবর্তন। পরে আবেদন সাপেক্ষে মিলল পরিবর্তিত সার্টিফিকেট, যেখানে বর্ণগুলো পুনরায় স্থান পরিবর্তন করে তাদের স্ব-স্ব অবস্থানে ফিরে গেছে। ফলে তিনি বলতে পারলেন, এগুলো হাশেম আলীর সার্টিফিকেট।

সার্টিফিকেটগুলো ফাইলবন্দি করে হাশেম আলী চলে আসেন ঢাকায়। বিসিএস পরীক্ষা দেবেন। মেসে উঠলেন। শুরু হলো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে টিউশনি। পাশাপাশি আবাসস্থলের পরিবর্তন। একবার শেওড়াপাড়া, তো আরেকবার পূর্ব রাজাবাজার। কয়েক মাস পরে হয়তো স্থান পরিবর্তন করে আবার পশ্চিম রামপুরা। সঙ্গে টিউশনির স্থানের পরিবর্তন। বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এক জায়গায়, লিখিত পরীক্ষা আরেক জায়গায়, স্থান পরিবর্তন করে ভাইভা আরেক জায়গায়। এভাবে চলতে থাকে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া। দুবারের চেষ্টায় বিসিএস না হওয়ায় তার জায়গা দখল করে বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা। ব্যাংকের চাকরি মিললেও হাশেম আলীর স্থির হয়ে বসার কোনো উপায় ছিল না। ব্যাংকের এক ডেস্ক থেকে আরেক ডেস্ক। এক শাখা থেকে আরেক শাখায়। এভাবে স্থান পরিবর্তন করতে করতে যখন চাকরি থেকে অবসর নিলেন, তখন চেয়ারে বসতে বসতে তাঁর ভুঁড়ি স্থান পরিবর্তন করে অনেক নিচে নেমে এসেছে, আর মাথার চুলগুলো কপালের ধাওয়া খেয়ে পেছাতে পেছাতে এমন এক জায়গায় চলে গেছে যে, নিচ থেকে তাকালে কপালটাকে অসীম বলে মনে হয়।

অসীম সম্ভাবনা নিয়েই মায়ের কোলে ঠাঁই পেয়েছিলেন হাশেম আলী। সেখান থেকে প্রাইমারি না পেরোতেই স্থান পরিবর্তন হয়ে জায়গা মেলে ভাইয়ের বিছানায়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেসে বন্ধুর সঙ্গে। বন্ধুরা চাকরি নিয়ে স্থান পরিবর্তন করে যার যার বউয়ের বিছানায় চলে গেলে হাশেম আলীও তাদের পথ অনুসরণ করে শামছুন্নাহার বেগমকে নিয়ে পথচলা শুরু করেন। এক এক করে ছেলেমেয়ে জন্মের সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় তাঁর স্থান পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর কারো সঙ্গে থাকতে হয় না। একা থাকেন। কিন্তু স্থান পরিবর্তনের অভ্যাস এখনো যায়নি তাঁর। তাই তো এপাশ-ওপাশ করে গড়াগড়ি করে কাটান দিন-রাত।

দিন আর রাতের স্থান পরিবর্তন একদম অসহ্য মনে হয় হাশেম আলীর কাছে। বিশেষ করে শীতের সময়। এত বড় রাত! একা। মাঝে মাঝে মনে হয়, কম্বলের ভেতর তিনি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন। নিজেকে ফিরে পেতে খুঁজে চলেন সারাক্ষণ। এই খোঁজাখুঁজির অভ্যাসের কারণে শামছুন্নাহার বেগম বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আলাদা কম্বলে থাকা শুরু করেন। এতে অবশ্য খুব বেশি লাভ হয়নি তাঁর। হাশেম আলী নিজেকে খুঁজতে খুঁজতে মাঝেমধ্যেই স্থান পরিবর্তন করে তাঁর জন্য নির্ধারিত অঞ্চলের সীমানা অতিক্রম করে হামলা চালাতেন শামছুন্নাহার বেগমের কম্বলে। শামছুন্নাহার বেগম হাশেম আলীর আক্রমণের গতিপ্রকৃতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতেন আত্মসমর্পণ করবেন নাকি প্রবল প্রতিরোধ ও পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীকে নিজের অঞ্চলে ফিরতে বাধ্য করবেন।

বাধ্য হয়ে জীবনে অনেকবারই স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে হাশেম আলীকে। এখন যেমন ওষুধের দোকানের এক সেলসবয়ের হাতের ইশারায় সায় দিয়ে চুপিসারে কাঠের বেঞ্চ ছেড়ে দিয়ে নেমে আসেন রাস্তায়। একটু এগোতেই পরিচিত পত্রিকার দোকান। কাঠের বেঞ্চে বসার ব্যবস্থা আছে। পত্রিকাও পড়া যায় ইচ্ছামতো। তবে শর্ত একটাই, আগে একটা পত্রিকা কিনতে হবে। হাশেম আলী দশ টাকা দিয়ে একটা পত্রিকা কিনলেন। এরপর বেঞ্চে বসে এক এক করে বাকি পত্রিকাগুলি দেখা শুরু করলেন। যেটা প্রথম হাতে এলো, সেটার ওপরে বড় করে লেখা ‘মলাট ওলটালেই মূল পত্রিকা’। বিজ্ঞাপনের চাপে পত্রিকার প্রথম পাতা স্থান পরিবর্তন করে দ্বিতীয় পাতায় চলে গেছে। হাশেম আলী কিছুটা বিরক্তি নিয়ে ‘মলাট’ উল্টে ‘মূল পত্রিকা’র শিরোনামগুলি পড়া শুরু করলেন – ‘গাজীপুরে ১৯২ সরকারি পুকুর বেদখল’, ‘একদিন ইউরোপের লিগে খেলতে চাই : বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক’, ‘ঘর ভাঙি গেছে, এখন কাপড় নাই, খানি নাই – সরেজমিন কোম্পানীগঞ্জ’। কিছু খবর বিস্তারিত পড়তে মন চাইলেও খুব কষ্টে সেই লোভ সংবরণ করেন হাশেম আলী। কারণ এখানে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় নিলেই মালিকপক্ষের চোখরাঙানি সইতে হবে ।

চোখরাঙানির ভয় মাথায় নিয়েই হাশেম আলী পরের পৃষ্ঠাগুলির শিরোনামে চোখ বুলাতে লাগলেন – ‘ঢাকায় দোরাইস্বামীর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন সুধাকর দালেলা’, ‘মাছ উৎপাদন বৃদ্ধিতে শীর্ষ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ’, ‘ভারতে ভূমিধসে নিহত ২৫’, ‘যুক্তরাষ্ট্রে সমকামীদের সম্মেলন’, ‘গর্ভপাত ক্লিনিকে যাওয়ার তথ্য মুছে ফেলবে গুগল’, ‘শান্তির বদলে কেন যুদ্ধ প্রকল্পে যেতে হচ্ছে ইউরোপকে’, ‘এসএসসি পরীক্ষা ২০২২ পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুসারে’ – আরো বেশ কয়েকটি শিরোনামে চোখ বুলিয়ে গেলেন তিনি স্বল্পসময়ে। তারপর ‘আজকের মতো যথেষ্ট হয়েছে’ ভেবে নিয়ে বাসার দিকে রওনা হলেন।

বাসায় ফিরতে ফিরতে হাশেম আলী ভাবেন, আসলে কোনো কিছুকে যথেষ্ট ভাবাটাই কঠিন কাজ। নিজের অবস্থানকে যথেষ্ট ভাবলেই ঝামেলা কমে যায়। কিন্তু তা আর হয় কোথায়? এই যেমন ইলিয়াস মিয়ার চায়ের স্টলের কারণে হাশেম আলীকে ফুটপাত থেকে নেমে আসতে হলো রাস্তায়। ইলিয়াস মিয়ার কাছে তার চায়ের স্টলের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গাটা যথেষ্ট মনে হয়নি। তাই সে তার স্টল ঠেলে ফুটপাতের  ওপরে উঠে এসেছে। স্টল বড় হয়েছে। ব্যবসা বেড়েছে। ইলিয়াস আলীকে দোষ দিয়ে কী লাভ। এই শহরে বেশিরভাগ বাড়ির ক্ষেত্রেই দোতলা থেকে ওপরের দিকে বারান্দাগুলি স্থান পরিবর্তন করে সরকারি রাস্তার ওপর উঠে আসে।

আরেকটু এগোলেই চোখে পড়বে ‘শান্তি নীড়’। শান্তি নীড়ে শান্তি এতই বেশি যে তাদের শান্তির বাগান বাসা থেকে বের হয়ে ফুটপাত টপকে রাস্তার কিছু অংশের শোভা বর্ধন করেছে। রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলা মানুষকে আনন্দের জোগান দিতেই বাগানের এই স্থান পরিবর্তন।   

হাশেম আলীও তো এরকম কতবার স্থান পরিবর্তন করেছেন। কখনো হয়তো ভয়ে, কখনো আবেগে, কখনো সম্মান বাঁচাতে, কখনো বিবেকের তাড়নায়। স্কুলে পড়ার সময় ক্লাসের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে মারামারি করে অভিমানে তার থেকে দূরের কোনো বেঞ্চে গিয়ে বসেছেন। কলেজে নিয়মিতভাবে বসার স্থান পরিবর্তন করেছেন ডান পাশের সারিতে বসা মেয়েদের মধ্যে নির্দিষ্ট একজনের অবস্থান বিবেচনা করে। তাকে দৃষ্টির সীমানায় রেখে। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান পরিবর্তন করেছেন ভয়ে। ছাত্রনেতাদের ভয়ে, শিক্ষকের ভয়ে, হ্যান্ডনোটশিকারি মেয়েদের ভয়ে, সিগারেটখোরদের মুখের ও শরীরের গন্ধের ভয়ে। 

এই যেমন এখন রাস্তার পাশে রাখা ডাস্টবিনের উপচেপড়া ময়লার গন্ধের ভয়ে স্থান পরিবর্তন করে তাঁকে অন্যদিক দিয়ে হেঁটে যেতে হলো। যে-রাস্তায় ঢুকলেন, সেখানেও গন্ধ। কর্পূরের গন্ধ। রাস্তার পাশে একটা ছোট প্যান্ডেল করে একটা লাশ রাখা আছে। আহ! মানুষটার একটা স্থায়ী স্থান পরিবর্তন হয়ে গেল আজ থেকে। যেখানে আজ তাঁকে রাখা হবে, সেখানেই থাকবেন। স্থান পরিবর্তনের কোনো সুযোগ অবশিষ্ট থাকল না তাঁর হাতে। একটু পরেই হাশেম আলীর মনে হলো গ্রামের বজু চাচার কথা। বজু চাচাকে কবর দেওয়ার কয়েক মাসের মাথায় এক সকালে দেখা গেল কে যেন কবর খুঁড়ে রেখেছে। সেখানে বজু চাচার শরীরের কোনো নামগন্ধ নেই। কেউ বলল, শিয়ালে নিয়ে গেছে। কেউ বলল, কংকালচোরের কাজ। হাশেম আলী মনে মনে দ্বিতীয় ধরনের স্থান পরিবর্তনকে

মাথায় রেখে ভাবতে লাগলেন। মরার পরেও শান্তি নেই তাহলে। যে-কোনো সময় কবর থেকে স্থান পরিবর্তন করে কংকাল হয়ে জায়গা মিলতে পারে ডাক্তারের চেম্বারে বা তার বেডরুমে। তখন একটু আরাম করে শুয়ে থাকারও উপায় থাকবে না। স্ক্রু আর তার দিয়ে জোড়া দেওয়া হাড়গুলি নিয়ে বিরামহীনভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। আর দাঁড়াতে পারলেন না হাশেম আলী। কর্পূরের গন্ধ অনেক বেশি শরীরে ঢুকে পড়েছে। মাথা ঝিমঝিম করছে। দ্রুত বাসায় ফিরতে হবে। বাসার সামনে এসে ডাকতে হলো দারোয়ানকে। গেট ছেড়ে আবারো দূরে কোথাও ছিল সে। এবার আর সিঁড়ি দিয়ে না উঠে লিফটে উঠলেন। বাসায় ঢুকতেই শামছুন্নাহার বেগমের চিৎকার। তার উৎকণ্ঠাকে নির্দ্বিধায় মেনে নিলেন হাশেম আলী। বুঝতে পারলেন, কিছু না খেয়ে বাইরে যাওয়া উচিত হয়নি তাঁর। যে-কোনো সময় সুগার লো হয়ে একটা বিপর্যয় ঘটে যেতে পারত। ডাইনিংয়ে চেয়ারে বসতেই  শামছুন্নাহার বেগম তাঁর সামনে এক গ্লাস লেবু-পানি এনে দিলো। হাশেম আলী রং দেখেই বুঝতে পারল মধু মেশানো হয়েছে। পুরো গ্লাস শেষ করে আড়চোখে রান্নাঘরের দিকে তাকালেন। দেখলেন, চুলার পাশে টাইলসের ওপরে সরিষার তেলের পাশেই রাখা আছে মধুর বয়াম। হায়রে স্থান পরিবর্তন!