আমরা তো আমাদেরই ছিলাম, আর যেমনটা ছিল সবাই।
এই তামাটে মাটিও আমাদেরই ছিল, পুনর্বার আমাদের হওয়ার আগেই।
সে গল্প বহু যুগ আগের। সুপুরুষ পিতামহও জানতেন। জানতেন না শুধু
মামুলি ভূমি চাষ। শহুরে পিতামহী তাঁর ছায়া ধরে ধরে হাঁটতেন,
সেখানেই ছিল তাঁর যাবতীয় চাষবাস। ভূমি চাষ আটকায়নি তাতে।
যৌবনের যুদ্ধটা তো চাষেরই। কামান বারুদের ধোঁয়াটে হলকায়
নির্জীব মানুষেরা যখন টপাটপ ডুবে যাচ্ছে মাছেদের পুকুরে, পিতামহ
এক ঝটকায় ছিঁড়ে ফেললেন পাঞ্জাবির সবুজ, এক টানে ছিঁড়ে ফেললেন
পিতামহীর লালঠোঁট ব্লাউজ, আর টুকরো সবুজের ওপর বসিয়ে দিলেন
লালটিপের গোলাপ। তারপর বাঁশের ডগায় সেই দু-রঙা কাপড় উড়িয়ে
ছুটলেন গ্রাম থেকে গ্রামে, শহর থেকে গঞ্জে, জনপদ থেকে প্রান্তিক জনারণ্যে Ñ
গলা ফাটিয়ে বললেন Ñ ক্যানো এই যুদ্ধ বাহে? তোমরা ক্যান্ এই ডালভাত
শালিকের বাংলায়? হট্ যাও, হট্ যাও। এ আমাদেরই রক্তমাংস, আমাদেরই
মাটি ও শরীর …
তারপর কী যে হলো, নাদুস শরীরটা নিমেষে ফুটো হলো। শৌখিন পিতামহ
মিশে গেলেন লালপানি মাছেদের ভিড়ে। দেশটা আমাদেরই ছিল, পুনর্বার
আমাদেরই হলো।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.