মাকিদ হায়দার
-
খেয়াঘাট
অনেক অনেক কথা বলেছে আমাকে আগে কখনো শুনিনি কোনোদিন। এমনকি কখনো দেখিনি কারো ভেজা চোখ। তখুনি ভেবেছি যদি ফিরে আসে, কোনো কথা না বলে দেখিয়ে দেবো খেয়াঘাট, খেয়া নিয়ে বসে আছি জোড়াসাঁকোর রবিবাবু করবেন পারাপার। যদি ফিরে যেতে নাই চায় দুই চোখে জানায় মিনতি কি রবো না দোহার পাড়ায়। অন্ধপ্রেমে…
-
বোধহয়
(মুনতাসীর মামুন, প্রিয়জনেষু) পাশাপাশি বাতাস। যদিও দুজন দুইটি চেয়ারে একই অফিসে। তার সময় হলো না ডানে-বামে ফিরে তাকাবার। সারাদিন নিজেকে নিমগ্ন রাখতেন তিনি হিসাব-নিকাশে। সদাগরী অফিসের হিসাব শাখায়। ভীষণ সুনাম ছিল তার সদাগরী অফিসের সকল শাখায় যেহেতু তিনি চাননি ফিরে ডানে, বামে কোনোদিন। আশা করি এখন আছেন ভালো। আমি ডানে বামে…
-
কী যেন বলতে চেয়ে
রেলগাড়ির কামরায় শুধু যে, রবিবাবুর সাথেই তার দেখা হয়েছিল তাই নয়, দেখা আমারও হয়েছিল চিটাগাং সেলে। চেনা মুখ, হয়নি অচেনা। দেখলাম, দেখলাম, তার কপাল জুড়ে বিশাল ঝলমলে টিপ ঠিক যেন, সুকান্তের পূর্ণিমার চাঁদ। অঙ্গুরীতে শুভ্র হিরের ঝলকানি কণ্ঠের সীতাহার তাকানো আমার দিকে, কী যেন বলতে চেয়ে বলেনি কিছুই কী ভেবে হঠাৎ…
-
যখন সে, আর, ও ছিলাম
মাকিদ হায়দার দেখা যখন হলো না তখন দাঁড়িয়ে না থেকে অফিসে যেতে দেখি সেই তিনি। সাথে নূতন পুরুষ রাগ অভিমান হলো না কিছুই পায়ে, পায়ে, অফিসে এসে দেখি আমার ঘরের চেয়ারে অচেনা একজন আছেন বসে। আগে তাকে চোখে পড়েনি আমার, এমনকি, কোথাও দেখা হয়েছিল কি না কিছুতেই পড়ল না মনে। হাসি দিয়ে সেই তরুণীর নিকট…
-
রজকিনি
মনটা যেদিন অধীর থাকে সেদিন আমি বসে থাকি রাজবাড়ির হাটবাজারে। হাটুরেরা চেনাজানা। হাজার কথার মধ্যিখানে হঠাৎ শুনি বায়স ডাকে। মনটি তখন ভাবতে থাকে অতীতকথা, তখন আমি ধুলোর ভিতর লিখতে থাকি মণিদীপা এখন কোথায়! এমনি করে কাটে আমার সারাবছর হাটবাজারে, মেঘের ছায়া হিংসা ভুলে দেখতো যদি আমার বাড়ি যে বাড়িটা বানিয়েছিলাম…
-
নেই
কথা বলা দূরে থাক দেখাই হলো না। আমাকে দেখলে মুখ ফিরিয়ে নিতো কি না জানি না, দেখা হলে বলতাম, আর যেন কোথাও দেখা না হয় আমাদের। দেখাই যখন হলো না, তখন বলাও হলো না তাকে। পোড়া চোখ নিয়ে প্রতীক্ষায় আছি অপেক্ষায় নেই।