শামীম হোসেন

  • নিয়তি

    দূরে, চরের ওপারে তারার মতো জ¦লছে বিন্দু বিন্দু আলো ঘূর্ণির মতো হাওয়া এসে হাঁ করে গিলে নিচ্ছে বালির আস্তর নদীর স্ফীত ঢেউ পাড়ে ফেলে গেছে এই ছাতিম পাতা যা এখনো সবুজ সতেজ তার শিরা-উপশিরা। উলুখড় চূর্ণিত চোরাবালি অজগরের মতো টেনে নিচ্ছে পা হাতের তালুতে ফুটে উঠছে রাশির নিয়তি ভয়ের জাফরি চিত্রে আঁকা বালিরেখা পথের চিহ্ন…

  • ধূসর উন্মোচন

    তার সঙ্গে থাকে, নির্জনে থাকে না কখনো একসঙ্গে খায়দায়, ঘোরে, অরণ্যে যায় নিশিপাখির মতো এ-ডালে ও-ডালে ঝোলে লুপ্ত সাধনার পাশে, রেলপথ সমানে সমান নিষ্ফলা ক্ষেতের মাটিতে পুঁতে রাখে বীজ বশীকরণ, সংহার, প্রহেলিকা ধূসর প্রান্তরে মন ডিঙিয়ে ওড়ে, নবদরজার চৌকাঠে, গুঞ্জনে ইনবক্সে থেকে থেকে পাখি ডেকে যায় অনেক পথের পাশে গিরগিটি হাঁটে, রং পালটায়, বাঁশিসুর নিভন্ত…

  • চাকার উপহাস

    গুইসাপের পেট চিড়ে যে-শব্দ পালিয়ে গেছে তার পিছু পিছু এতদূর এসেছি, এসে দেখি ঝরা শিউলির গন্ধ চুরি করে আকাশে ভেসেছে নির্জন-মেঘ, শতাব্দীর কার্নিশ চুঁইয়ে কয়েক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ছে আমার হাতের তালুতে আর জঙ্গলপথের খোলস ছিঁড়ে হারিয়ে যাওয়া হরিণের বিহ্বল চোখের থকথকে ভয়ের ভেতর নিজেকে দাঁড় করিয়ে মাথা নিচু করে তোমাদের অধীনে গেছি, হে কোমল…

  • বার্তা

    ইন্দ্রিয় সজাগ রেখো – কেউ আসছে মাটির গন্ধ তার সারাগায়ে রক্তের গন্ধ তার আকাশে বাতাসে নখ, মুখ, কান অরণ্যে ঢাকা হিমালয়ের মতো বিশাল হৃদয় নিয়ে – কেউ আসছে খুব গোপনে কান পেতে শোনো তার পায়ের শব্দ পাবে বাতাসে নিশ্বাস নাও – গন্ধ পাবে গাছের ঝরে যাওয়া পাতাদের জিজ্ঞেস করো তারাও বলবে – কেউ আসছে প্রিয়…