ধূসর উন্মোচন

তার সঙ্গে থাকে, নির্জনে থাকে না কখনো

একসঙ্গে খায়দায়, ঘোরে, অরণ্যে যায়

নিশিপাখির মতো এ-ডালে ও-ডালে ঝোলে

লুপ্ত সাধনার পাশে, রেলপথ সমানে সমান

নিষ্ফলা ক্ষেতের মাটিতে পুঁতে রাখে বীজ

বশীকরণ, সংহার, প্রহেলিকা ধূসর প্রান্তরে

মন ডিঙিয়ে ওড়ে, নবদরজার চৌকাঠে, গুঞ্জনে

ইনবক্সে থেকে থেকে পাখি ডেকে যায়

অনেক পথের পাশে গিরগিটি হাঁটে, রং

পালটায়, বাঁশিসুর নিভন্ত আলোর উদ্বোধনে

মহাসড়কের মাথায় শান্তস্বভাবে নিশিবেড়াল

ভ্রমণে গেলে, সবুজবাতি জ্বলে আর নেভে

নভোবাড়ির ছাদের নিচে মৌন হাহাকারে

ইনবক্সে চুপি চুপি পাখি ডেকে যায়

তার সঙ্গে থাকে, ছায়াসঙ্গী, মায়া আঙুলের

সঞ্চালনে দূরের কোনো মাঠে তাপে উত্তাপে

বিস্তারে, নব উন্মীলনে, কথার গোলাপ ফোটে

চন্দ্রমল্লিকার ঘ্রাণে চাঁদ ডেকে আনে, মিলনে

বাহুতে শীৎকারের শব্দ লেগে থাকে, নৈবেদ্য

সাজিয়ে, প্রস্তর দেহ পড়ে থাকে মহুয়া বাগানে

একা একা কে পোড়ে অঙ্কুরিত জবার আয়তে

অতল মহাকাশ থেকে বহু বহু দূরে অতিমারির

চকচকে দাঁত ভয় দেখিয়ে গেলে নিভৃতে দুজনে

রাতকালো সীমানা ডিঙিয়ে রিকশার টায়ারে, হুডে

একাকার ভোজে, ভোজনে, সিঁথির অঙ্কিত দু-ভাগে

ক্যাকটাস-কাঁটা বিছিয়ে রাখে দূরত্বের আয়নামহলে

স্বরূপ ফেরে না তার মৃদু মৌনতায়, ঝরনার বরিষণে

জাদুর বাঁশিতে কাছে ডাকে, জিহ্বার আত্মলেহনে

তার সঙ্গে থেকেও থাকে না কখনো, মোহ-ব্যঞ্জনে

এ-ডালে ও-ডালে ঘোরে, নিশিপাওয়া বেড়ালের মতো

পায়ে পায়ে, কোন পাখি কার ইনবক্সে ডাকে

ধূলি-ধূসর এই ভোরের নগরে …