জলের অক্ষরে লেখা
-
জলের অক্ষরে লেখা
পর্ব : ১১ অবন্তিকে বিদায় দিয়ে ফের বেডরুমে এলো ঋভু। বিছানাটা এলোমেলো হয়ে আছে। মুচকি একটু হাসলো সে, অনেক ঝড় বয়ে গেছে বেচারা বিছানার ওপর দিয়ে, বহুদিন পর। থাকুক, ওভাবেই থাকুক আজকে। ঘর জুড়ে একটা সুগন্ধ, অবন্তির শরীরের গন্ধ, থাকুক ওটাও। সে এলোমেলো বিছানাতেই সুগন্ধির ভেতরে ঘুমাবে আজ। কিন্তু এখন তো ঘুম আসবে না, কী…
-
জলের অক্ষরে লেখা
পর্ব : ১০ আড্ডা আর তেমন জমলো না। হাসি-ঠাট্টা-তামাশা-দুষ্টুমি সবই হলো, কিন্তু ঋভু ঠিক অংশ নিতে পারলো না। সেও হাসলো বটে, কথার পিঠে কথাও বললো, কিন্তু বারবার মনে হতে লাগলো, এসবের কোনো মানে নেই। অবশ্য কিসেরই বা মানে আছে? এই প্রশ্ন মনে এলে কোনো উত্তর খুঁজে পেল না নিজের ভেতরে। সে বরাবরই বলে কম, শোনে…
-
জলের অক্ষরে লেখা
পর্ব : ৯ বাড়ির সামনে নেমে অবাক হয়ে গেল অবন্তি। এখানে সে অনেকবার এসেছে, কিন্তু এই বাড়িতে নয়। অনেক বছর আগে যখন এখানে আসতো সে, অংশু কিংবা ঋভুর সঙ্গে, তখন এটা ছিল একটা পুরনো দোতলা বাড়ি। দোতলায় বাড়িওয়ালা থাকতেন, নিচতলায় অংশুরা। একটা স্যাঁতসেঁতে গন্ধ ছিল ওদের বাসাটায়, ততটা খোলামেলাও ছিল না। ছোট সেই বাসায় অনেক…
-
জলের অক্ষরে লেখা
পর্ব : ৮ সকালে ঘুম ভাঙতেই অবন্তির মনে হলো, আজ সে কোথাও যাবে না। অবশ্য অংশু আর ঋভুর সঙ্গে আড্ডায় যাওয়া ছাড়া গত কয়েক দিনে অন্য কোথাও যায়ওনি সে। আজ ওদের কাছেও যাবে না। ঘুম ভাঙার পর প্রথম অনুভূতিটা এরকম হলো কেন, এ নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবলো অবন্তি। রাতের কথা মনে পড়লো। ঋভুর বাসায় আড্ডা, আকস্মিক…
-
জলের অক্ষরে লেখা
পর্ব : ৭ অবন্তি আর অংশু চলে যাওয়ার পরও ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রইলো ঋভু। এখান থেকে রাস্তার বেশ খানিকটা দেখা যায়। ওদের গাড়িটা চোখের আড়াল হয়ে যাওয়ার পর কেমন এক শূন্যতাবোধ গ্রাস করলো ঋভুকে। নিজেকে একা আর নিরালম্ব মনে হলো। এরকম হওয়ার কথা নয়। একা থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে সে। সত্যি বলতে কী, এরকম নিঃসঙ্গ…
-
জলের অক্ষরে লেখা
পর্ব : ৬ অবন্তিকে পৌঁছে দিয়ে ফেরার সময় অংশুর ইচ্ছে করছিল আরো কিছুক্ষণ পথে পথে ঘুরে বেড়াতে। শহরের নানা প্রান্তে তার নকশায় নানা স্থাপনা তৈরি হয়েছে। মাঝে মাঝে সে একাই বেরোয় সেসব দেখতে, সাধারণত মাঝরাতে, যখন কেউ থাকে না আশেপাশে। কখনো-বা অপলাও সঙ্গে থাকে। একেকটা ভবন বা স্থাপনা সে অনেকক্ষণ ধরে দেখে। ভাবে, যা সে…
-
জলের অক্ষরে লেখা
পর্ব : ৫ ডিনারের পর অবন্তি যখন গভীর মনোযোগ দিয়ে ঋভুর সংগ্রহ করা ছবিগুলো দেখছিল আর ঋভু গিয়ে ওর পাশে দাঁড়িয়েছিল, অংশু দূরে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্যটির দিকে কতক্ষণ মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে ছিল। ঋভু ফিসফিস করে কথা বলছিল আর অবন্তি কান নামিয়ে এনেছিল ওর কাছে। কী সুন্দর একটা দৃশ্য, কী দারুণ মানানসই একটা জুটি! কেন যে…
-
জলের অক্ষরে লেখা
যদি এই চিঠি তোমার কাছে পৌঁছে থাকে, তাহলে দয়া করে একটু জানাও। তোমার যে ভুলোমন, এখনই জানাও প্লিজ, নইলে ভুলে যাবে। – এই কথা লেখা ছিল চিঠিতে। নিচে নাম লেখা লুসিয়া। এই নামের কাউকে ঋভু চেনে না, যদিও তারই ঠিকানায় এসেছে চিঠিটি। অবশ্য একে চিঠি বলা যায় না, অন্তত কেউ আর চিঠি শব্দটি ব্যবহার করে…