আহমাদ মোস্তফা কামাল
-
খেলা
আহমাদ মোস্তফা কামাল কোত্থেকে উদয় হলেন তিনি, কেউ জানে না। হ্যাঁ, উদয় হলেনই বলতে হবে, কারণ দুদিন আগেও যার অসিত্মত্ব সম্পর্কে কারো কিছু জানা ছিল না, সেই তিনিই হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো আবির্ভূত হয়ে অদ্ভুত-অচিন্তনীয় সব কর্মকা–র মাধ্যমে শহরবাসীকে হতবুদ্ধি-বিমূঢ়-বিস্মিত করে তুললেন এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সবাইকে জানিয়ে দিতে সমর্থ হলেন যে, যা ইচ্ছা তাই…
-
স্মৃতি
আহমাদ মোস্তফা কামাল মা নেই, মায়ের স্পর্শ যেন লেগে আছে এখনো, এই ঘরে। মুনীর ঘুরে-ঘুরে দ্যাখে – যে-চেয়ারে মা বসতেন, যে-বিছানায় ঘুমাতেন, সেগুলোতে আলতো করে হাত বুলায়, যেন মাকেই ছুঁয়ে-ছুঁয়ে দেখছে সে, এভাবে। মায়ের তসবি, জায়নামাজ, পানের বাটা, রুমাল, তোয়ালে সব রয়ে গেছে তেমনই, যেমনভাবে তিনি রেখে গিয়েছিলেন। দেখে মনে হয়, মা গেছেন পাশের ঘরে,…
-
সাক্ষ্য
আহমাদ মোস্তফা কামাল ওমন, কাঁদো কেন? ও চোখ, কেন এত ভিজে ওঠো? – নিজেই নিজের মন আর চোখকে জিজ্ঞেস করেন আজিজুল হক। আর না করেইবা উপায় কী, ওরা যে কাজই করতে দিচ্ছে না, কোনো শাসনও মানছে না। অথচ দ্রুত কাজটি করে ফেলতে হবে, এই কবর তৈরি করার কাজটি, মুর্দাকে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি দাফন করার তাগিদ দিয়ে…
-
আর কি হবে মানবজনম
আহমাদ মোস্তফা কামাল শহরের ব্যস্ত এবং পুরনো এক মার্কেটের প্রবেশপথের পাশে ছোট্ট একটা দোকান, আর সেখানেই দিনরাত উজার করে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছে অনিমেষ। ছোট দোকান হলে কী হবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে একেবারে ঠাসা। এমন কোনো জিনিস নেই যা সংসারের দৈনন্দিন কাজে লাগে অথচ এখানে পাওয়া যায় না, তবে দোকানটি বিখ্যাত তাদের নিজস্ব বেকারির তৈরি খাদ্যসামগ্রীর…