হাসান হাফিজ
পলেস্তারা খসে পড়ছে ঝুরঝুর
গোপনে ধরেছে ক্ষয়, নড়বড়ে ভিতর-কাঠামো
ঘুণপোকা শব্দ তোলে কিরি-কিরি
অবিশ্রাম গর্ত খুঁড়ে চলে…
স্রোতস্বিনী নদী ছিল অহংকৃত বহমান
তন্বীদেহ ছন্দেলয়ে সাবলীল
কথা কইতো মূর্ছনায় ছলোছল
আকাশে উড্ডীন মৃদু মেঘমালা
নম্রতা নিঝুম কষ্টে হতো আরো একা
সেই নদী তলপেটে অসহবিসহ ব্যথা অনুতাপ
কর্কট রোগের ক্লান্তি দুঃখধস
বুকে নিয়ে সহ্য করছে যাতনাবিষাদ
প্রকৃতি দেবে না তাকে একচিলতে কেমো
অচিকিৎস্য এই রোগে ধুধু বালুচরই
দৃশ্যত প্রবল হয়ে উঠতে থাকবে
সমাপনী কবে আসবে সেইমত অপেক্ষায়
জীবন এমনই ছিন্ন নির্জনতা প্রান্তরের নাম
দুঃখ আছে দাহ আছে
দীর্ঘশ্বাসও সেখানে সজল
আছে লয় আকস্মিক পরাজয়
মৃত্যুথাবা এমনই অমোঘ
তারপরও কেন যে জীবন এতো বেপরোয়া হয়ে ওঠে
কেন আকাঙ্ক্ষার তাপ ছড়িয়ে ভরিয়ে দেয়
বারবারই মাথা তুলে বলতে চায়
দ্যাখো আমি অনশ্বর নক্ষত্রপিপাসা
এই পরম্পরা কিন্তু কিছুতেই বিলুপ্ত হবে না…
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.