মাঝরাতে অকস্মাৎ কার গহনের ঘোরগাঢ় দীর্ঘশ্বাসে
ঘুম ভেঙে জেগে দেখি জানালায় নাক ঘষে
ক্লান্ত এক রাতের পৃথিবী-
ঘর থেকে বাইরে নেমে আসি
খড়কুটো নড়ে, হালকা বাতাসে কেঁপে ওঠে ঘাসপাতা
ছোট্ট সোনা কাঠবেড়ালিটা পুটোচোখে চায় –
পাতা নড়ে, পাতা ঝরে ঘাসের গহনে,
হয়তো কোথাও কোনো আড়ালে-আবডালে খাপ পেতে
বসে আছে মুখভরা দাড়ির আড়ালে কোনো
দুর্দান্ত চিতার ক্রোধ –
নাকি তার ফোঁসানিই শুনেছি ঘুমঘোরে!
না, এসব কিছুই নয় – ফোঁস করে শ্বাস ছাড়ে
দখিনা বাতাস, তবে
এ কোনো বাতাসের শব্দ নয় – আমি যা শুনেছি,
এলোমেলো বিচ্ছিন্ন আমার ঘুম যেন সেই দীর্ঘশ্বাসের শব্দে
অনন্তকালের মতো সুগভীর জলে ডুবে গেছে –
সে আর জাগবে না কোনোকালে;
বেদনার সারাৎসার সেই গাঢ় দীর্ঘশ্বাস কোনো ঝড়জলের নয়
নদীসমুদ্রের নয় – মহাশূন্যের থেকে অকস্মাৎ
পৃথিবীতে আছড়ে-পড়া কোনো উল্কাপিণ্ডও নয় –
সে কি তবে, সে কি তবে এই ক্লান্ত পৃথিবীর গাঢ় দীর্ঘশ্বাস!
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.