অলকানন্দার তীরে

আমার কোনো দুঃখ নেই

কতবার বলব কষ্টও নেই

আমার সুখগুলো হাওয়ায় ওড়ে অহর্নিশ।

হিজল গাছটার কথা মনে পড়লে

মন বলে, কেন বড় হলি তুই?

আমি তো বিশ্বাস করো বড় হতে চাইনি।

শৈশব আমাকে বড় করে দিলো আচমকা – একদিন লাল নানু এসে বললেন,

এই নে এখন থেকে সালোয়ার কামিজ ওড়না পরতে হবে – ফ্রক পরা ছেড়ে দে, তুই বড় হয়ে গেছিস।

আমি তো বড় হতে চাইনি, জানতাম বড়দের অনেক দুঃখ থাকে।

মাটির টোপাটাপি আর কাপড়ের পুতুলগুলো সব টিনের ভাঙা বাক্সে

লুকিয়ে রেখে অগত্যা বড় হতে হলো।

কলেজের পডুয়া ছেলেরা যখন চোরা চোখে তাকায়, কেউ একটু মুচকি হাসে কেউ

আবার সাহস করে গোলাপ ছুড়ে দেয় – তখন দৌড়ে গিয়ে আয়নায় মুখ দেখি।

বারবার দেখি, হায় আমি সত্যিই তো বড় হয়ে গেলাম!

এবার কি দুঃখগুলো ছুঁয়ে ফেলবে আমাকে?

না ছুঁতে দেবো না। একেবারেই দেবো না

একছুটে রূপকথার শৈশব খুঁজতে বের হবো

অলকানন্দার তীরে।