(উৎস : জীবনানন্দ দাশ)

একবার ভালোবেসে, অন্যবার অবহেলা করে

কখনো-বা ঘৃণা করে মেয়েদের দেখেছেন তিনি

মেঘের নকশার মতো মুগ্ধকর অনেক দেখায়

সেই মেয়ে – স্তন যার প্রবাহিত জলের উচ্ছ্বাস

               বরফকুচির মতো শীতল ও সাদা,

ছড়ায়ে শিশিরশব্দ, আঁচলের চোরকাঁটা বেছে

যে-যুবতী হাসিমুখে দ্রুত চেয়ে থাকে,

কোনো কোনো মহিলাকে ভালোবেসে পাওয়া যায় জ্ঞান,

যদি মেয়েমানুষের দেখা মেলে ঘন রাতে নক্ষত্রের ভিড়ে –

আরো বেশি নক্ষত্রের আলো

শান্তি দেয় পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখের কালে

সভ্যতার বয়সিনী সুরঞ্জনা যদি

                           কথা বলে যুবকের সাথে –

তখনই হৃদয় তার আধপোড়া মাটি,

সুদর্শনা – সুদর্শনা বটে

অঙ্গ ও প্রত্যঙ্গ জুড়ে হেসে থাকে ভোরের আকাশ

নীলাভ ব্যথিত চোখ – এর নাম শঙ্খমালা

সুচেতনা – চিরকাল ঢেউরঙা দূরত্বের দ্বীপ

সমুদ্রের নুন তবে খুঁজে পাওয়া যায়

                    সবিতার অন্ধকার চুলের ভিতর

বিখ্যাত পুরনো শক্তি স্থান করে আছে

                       ব্রীড়ানত শ্যামলীর মুখে

সুদীর্ঘ ঘুমের শেষে সরোজিনী চলে গেছে দূরে …

মানুষীর যত নাম, উষ্ণ ঠান্ডা যত সম্বোধন

একজন ‘বনলতা’ হয়ে

         জেগে থাকে অবিশ্রান্ত প্রেমের হৃদয়