সুজিত বসু
গলির মোড়ে প্রথম দেখি তাকে
নরম ভোরে পথে পটের ছবি
সর্বনাশই হাতছানিতে ডাকে
দু-চোখ হলো প্রতীক্ষাতে লোভী
গলির মোড়ে বাগানওলা বাড়ি
গোলাপ গাঁদা মল্লিকা মালতী
ফুলকে দিত মৃদু জলের ঝারি
আর আমাকে লাগামছাড়া ক্ষতি
বুকে তখন কচি ঘাসের ঝোপ
গলার স্বরও ভাঙতে থাকে রোজ
তার দু-গালে লজ্জাগাঢ় ছোপ
না চাইতেই নয়নসুখী ভোজ
অতীতে সব দৃশ্য মনোরম
জলের বুকে সাঁতার কাটে হাঁস
সুখই বেশি, দুঃখ ছিল কম
আদর নিয়ে পায়ে জড়ায় ঘাস
পবিত্র সেই শিশিরধোয়া মুখ
রোজ সকালে যখন তাকে দেখি
অবুঝ মনে অসহ্য সে সুখ
বাকি জীবন এক নিমেষে মেকি
ইচ্ছে হতো পাখির মতো উড়ি
আকাশ ছুঁয়ে আসতে পারি ফিরে
নবাব হয়ে খেলবো লুকোচুরি
বেগম যেন না মিশে যায় ভিড়ে
উড়িনি আমি, পাখিরা আজো ওড়ে
শুধুই ভাবি অতীতে ফিরে যাবো
আগুন নেই, তবু মন পোড়ে
বেগম তুমি আমার কথা ভাবো!
সাজানো আছে বেদনা সারি সারি
জীবন থেকে হঠাৎ গেলে সরে
বাগানে নেই জলের কোনো ঝারি
বাড়ি তোমার ছিল গলির মোড়ে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.