বঙ্গনারী

শ্যামল শোভার নদী একে একে মেশে এসে যে সমুদ্রে

শোভিত সে-সমুদ্রও অপলক দ্যাখে যার রূপের উদ্ভাস

সে অতুল বঙ্গনারী, সবুজ কাঁটার ঝাড়ে গ্রীবাউঁচু ফুল।

যদিও সৃজনীপ্রভা তার উপেক্ষিত স্বীকৃতির প্রতিবন্ধী চোখে

জীবনের খরপথে অবিরাম হেঁটে হেঁটে বিক্ষত পা

প্রকৃতিপ্রেম ও শিল্পচেতনার নিভৃত আকর

সে জ্বলে প্রেমের মোতি প্রেমিকের চোখে

সে তার আপন চোখে ছেঁড়ে তবু শাদা অন্ধকার

স্বজনের সেতু হয়ে সে বাঁচে অসীমকাল শস্য আবাহনে

সন্তানের মাথায় হাতটি রেখে।

এই কথা মানি

অনিন্দ্যসুন্দরী তুমি বঙ্গনারী, নিবিড় কল্যাণী!