পাড় ভাঙা নদী পেরিয়ে তিনি উঠে এলেন।
তিনি উঠে এলেন মেঠো সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে
তামাটে বাঙালির চিবুক ছুঁয়ে ছুঁয়ে
দাঁড়ালেন তিনি আকাশের চেয়েও উঁচু হয়ে।
তারপর সব নদী রক্তাভ সমুদ্র হলো
বত্রিশ নম্বরের শাদা বাড়িটা
ভেতো বাঙালির নিঃশঙ্ক শয্যা হলো।
কে ডাকে? কোন শকুনেরা ডাকে
আগস্টের ভেজাঘুম ভোরে?
তিনি ওম শয্যা ছেড়ে নেমে এলেন
বত্রিশের নিজস্ব সিঁড়িটা ভেঙে ভেঙে …
‘কে তোরা? কী চাস? বাঙালি কি পরিচয়?’
কালো যন্ত্রগুলো বজ্রধ্বনিতে কাঁপে
তাঁর বুকের জমিনটা নিঃশব্দে মাপে।
শব্দরা নিথর।
নক্ষত্র আকাশ আচমকা সিঁড়িতে লোটে।
তাঁর সফেদ বুক থেকে তিরতির নেমে আসে
মধুমতি,পদ্মার শোকার্ত লোনাজল –
বত্রিশের সিঁড়িটা সেই থেকে
ধাপে ধাপে নেমে গ্যাছে রক্তবিধৌত বিনম্র সবুজে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.