বর্ষ-আবাহন

মহড়া চলছিল আগেই – বারোটা বাজতেই

রাত আর রাত্রি থাকলো না স্নিগ্ধ-মোলায়েম –

কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ ছিল আগের মতোই – স্কাইস্ক্রেপার

পেরিয়ে সে থমকে দাঁড়ায় নগর-গলির আকাশে;

আসছে নতুন বছর – উন্মত্ত মানুষ শব্দ আর বারুদের

গ্রেনেড নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো সেই নতুনের ওপর;

নতুনের কেতন গেল ছিঁড়ে – হল্লা-চিৎকারে মুহূর্তেই

চরাচর উন্মত্ত – রাত টালমাটাল – বেহুঁশ, সন্ত্রস্ত নগর;

যেন এক রণাঙ্গন – জ¦লছে চারপাশ – উড়ছে ফানুস

মানুষ আর ফানুস শব্দে-চিৎকারে একাকার;

এই নগরে বাড়ি নেই পাখিদের – রাতের কোনাকানচিতে

ঘুমোয় যে ঘরহীন – চমকায় তাদের পিলে, সন্ত্রস্ত তারা,

দেখে উন্মত্ত গুহাবাসী আদিম জনতাকে  – যারা ঝাঁপিয়ে

পড়ছে নতুন শিকারের ওপর;

অতিমারি চলে যাক, জ¦লুক নতুন সূর্য কাল – এই ভেবে

একটা বাঁশি তো বাজতে পারতো কোথাও – কিংবা

দরবারি গান! না, গান নেই কোথাও;

আহত এই রাতের জানালা বন্ধ করে শুনতে চাই

কালের যাত্রার ধ্বনি – সে কি অলোকসম্ভবা থাকে আর!