লসান হ্রদের তীরে

লসান হ্রদের তীরে বড়ো বেশি মৌনধীর শান্ত বসে থাকা

উপকূলে শ্বেতছায়া, সূর্য ফ্রেমে ঝুলে থাকে আনত গম্ভীর,

ডানার কম্পনধ্বনি মেলে পাখি উড়ে যায়, নীলজলে ঢেউ

মগ্ন সে উদাত্ত ভীরু, সাদাটে মেঘের রাশ পরিচ্ছন্ন আঁকা

এ-বিরাট চিত্রপটে, সমস্ত সুইজারল্যান্ড মন্দ্র আমন্ত্রণে

বিভোল লতার বাহু ফেলে রাখে তন্দ্রাচ্ছন্ন লসান স্টেশনে;

এ কেমন বাহুলতা, জাল এই ঘোরজাল, এর থেকে কেউ

কখন কীভাবে যেন কোথায় বৃথায় যাবে, এমনই কি বীর

শস্ত্র তূণ কাঁধে ফেলে রোমান যোদ্ধার মতো তাকেও তো রোমে

নিরস্ত্র রাজার সাজে যুদ্ধে সাড়া দিতে হবে, উদ্ধত সরমে

তাই কি রক্তিম মুখ, তুলি চিত্রপট ছেড়ে স্তম্ভ ধ্বংসস্তূপ

ভালো লাগে নাগরিক, এবং এ-ধূসর রাত্রিতে

অগ্নিধূম লাভাস্রোতে জ্বলন্ত নগর ছাই, লসান সেসব

রাখেনি একান্তভাবে কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া, নীলাভ কাজলে

তেমনই প্রতিমামুখ, তেমনই কুসুমঘ্রাণ, মোহ শিহরণে

স্টিমারে মোটরবোটে সেরকমই চুম্বনের ছলশব্দ সুর

অঝোর ঝোরার মতো ঝরে যায় ঝরে যায়, শয়নে স্বপনে

লসান হ্রদের তীরে বেজে যাক ভিনদেশি বিষণ্ন নূপুর।