সোহরাব পাশা
-
আমাদের বাড়ি
সোহরাব পাশা গভীর মেঘের সূক্ষ্ম ভাষা ছিল রাত্রির বৈশাখে নদীর মাতাল ঢেউ ভাঙে জলের কবিতা হাসির শেকড়, আমি অন্য কেউ ভেবে এক ফোঁটা অন্ধকার ঢেলে ছিলে চোখে কখনো ভাবোনি প্রজাপতি ভোর দেখেনি শৈশব আমাদের দেখেনি বিকেল আলোকলতায় ঝিরঝির বৃষ্টির চুম্বন, রাত পোহানোর নামতা পড়েই আরেক সন্ধের পাতা ছুঁয়েছে আঙুল; দূরের প্রান্তরে ঘুরে ঘুরে ছুঁয়ে গেছে…
-
অন্য এক ভোরে ফুল ফোটে
অবেলায় কিছু ছেঁড়া গান ভেসে আসে ফেরে না স্বপ্নময় সময় বিনিদ্র রাত্রি বসিয়ে রাখে জানালায় অন্ধকারে তোমার বিষাদ ওড়ে, হাসি ঝরে পড়ে; দীর্ঘকাল আগে কোনো কবি কী এমন বিহবল বেদনায় শুনেছিল বাতাসের ধ্রম্নপদী সংগীত নৈঃশব্দ্যের হাসি শূন্যতার দীর্ঘ ভিড়ে, তারে ফিরে দেখার উপায় নেই তো একটিবার সময় যখন কুয়াশার; বাসনার মৃত্যুর আগেই সকলেই ফিরে যায়,…
-
বসন্তের পাতা খোলে
সোহরাব পাশা ধুলো কখনো ময়লা হয় না ভুল থাকে বলেই তো শুদ্ধস্বর ভূগোল রচনা নদী-পাঠে ধূলি নেই বুকভরা জলের অক্ষর ঢেউ তোলে বুকের ভেতর, তোমার লাবণ্যছায়া কামিজের নীল ফুল ভেসে গেছে দূরে জলের আঙুলে তুমি নুয়ে পড়ো আজ সহজেই ভাঁজ করা কাগজের ফুলে হেসে ওঠো হঠাৎ একটি লাল ঘোড়া তেড়ে এলে…
-
অসমাপ্ত কবিতা
সোহরাব পাশা মৃত্যু এক অসমাপ্ত শিল্প স্বপ্নশূন্য ফেরারি জীবন আলোর শেকড় ছেঁড়া দীর্ঘ অন্ধকারে মার্ক্সের বণ্টনসূচি চশমায় ঘনীভূত মেঘ, দাপাদাপি কুয়াশার খোয়া যায় কারো শেষ পাড়ানির কড়ি, মেঘলা দুপুর কাঁপে শঙ্কিত আলোকে নীলকণ্ঠ পাখি তিন সন্ধের পরেও ফেরে না, দূর অনন্তে ওড়ে; নিরপেক্ষ অন্য পক্ষে শুদ্ধ পক্ষপাত দুঃখেরা জন্মান্ধ চিরকাল আর্তনাদে ব্যবহৃত…