১
আমি কি এক অচেনা জলবায়ু?
স্তম্ভিত ভাঙার অন্তঃপটরেখা।
যদি তাই …
আমি কি ছিলাম
তোমার নিদ্রাহীনতা?
যে তোমাকে প্রত্নসত্য বলে দিত।
ঋতু এলোমেলো,
কখন হেমন্ত গেছে,
বৃষ্টি অন্য চলনে এলো,
শীতে অনেক শালিক মরে গেছে।
যদি তাই …
নীরবে বাড়াই হাত
কাদা থেকে তুলতে বেড়ালের শাবক।
উড়ে যায় অন্ধকার
ফুটিয়ে জীবন্ত জীবাশ্ম-স্মৃতি।
২
পারমিতা সহজে অবাক হতে পারে।
সাবান অনেক রঙের কিন্তু ফেনাগুলি সাদা।
স্নানের প্রহরে নীল ফেনা খোঁজে।
পিচ্ছিল আনুগত্যে জলেরা বিহ্বল।
আমার অবাকগুলি তিমিরনিবাসী।
নীলকরদের নিশ্চয়ই ডাকবো না।
৩
বাঘের চামড়ার উপর বসে
তারাশঙ্কর লিখেছেন চাঁপা ডাঙার বৌ।
সমাজে সংসারে রাগ ভালোবাসা : মেঘেদের চলাচল।
বনের গভীরে হরিণকে তাড়াচ্ছে বাঘ।
ডোরাকাটা গল্প জীবিত মানুষের।
৪
সময়জটের ঘরগুলি পূরণ করছি।
দরজায় লিখে দিয়েছি, কড়া নাড়বে না।
ফোন বন্ধ করেছি।
গলিতে একটা গাড়ি হর্ন বাজালো,
নকশি কাঁথা বিক্রেতা ডাকছে,
পাশের বাড়ির মেয়ে,
‘এক কহে আর-একটি একা কই’ গাইছে বারবার।
আমার চায়ের কাপের ওপর একটা মাছি উড়ছে।
জানালা থেকে একদল মেঘ কোথাও যাচ্ছে না।
সময়জটের ঘরগুলি আমাকে পূরণ করছে।
৫
তিনি সময়ের কোনো এক সময়ে
প্যারিসে দর্শন ও যুক্তিবিদ্যা পড়েছিলেন।
তাঁর কথার বন্যায়
দেরিদার ঘুম ভেঙে যায়,
লাকা অন্য নদীতে সাঁতরান,
গ্রামসি বধির হতে আগ্রহী,
ফুকো কফি খেতে ভুলে যান,
মার্কসের সামনে ঠান্ডা চা গরমে ছটফট করে।
কথামালার ভয়ে
উত্তর আধুনিকতা
উত্তর উপনিবেশবাদ
দৌড়াতে দৌড়াতে খোঁজে নতুন আবাদ।
তিনি যমজ কলা খান না।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.