অট্টালিকা নয়, আটপৌরে টিনের চাল

আঁতুর দেয়ালগুলি পলেস্তারাহীন

অশঙ্ক প্রাচীর চারধারে পাহারায়

তরল শৈশবের বিবক্ষু কোলাহল

গৃহের অলিন্দে অলিন্দে নিষুপ্ত।

যাপিত জীবনের প্রান্তভাগে এসে

ইচ্ছা হয় একবার চোখে দেখে আসি

প্রাচীন প্রাচীরখানা আছে কি আজো

রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে ঋজু দণ্ডায়মান

কালের স্থবির সাক্ষী দৃষ্টি নির্লেপ।

অবশেষে একদিন সেই বাস্তুভিটায়

উপস্থিত আমি – বক্ষ কম্পমান

আশ্রয়ের লোভে নয়, ক্ষণিকের দর্শন

তিতিক্ষু প্রাচীর ঢাকলো না অভিমান

সহসা চূর্ণ হয়ে বিলীন মৃত্তিকায়।